সেবাপ্রার্থীকে মারধোর করার অভিযোগে গোলাপগঞ্জের ৩নং ফুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত চেয়ারম্যান আব্দুল হানিফ খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় চেয়ারম্যান হানিফ ছাড়াও আরও দু’জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন, ফুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নজরুল ইসলাম (৫১) ও কম্পিউটার অপারেটর সাইফুল ইসলাম চৌধুরী (৩০)।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে গোলাপগঞ্জের কিসমত মাইজভাগ দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রব জুনু মিয়ার ছেলে নিগৃহীত কামরুজ্জামান মাসুদ (৩৯) মামলার বাদী হয়ে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২নং আমলি আদালত গোলাপগঞ্জে মামলাটি দায়ের করেন (নং সিআর ১৭৩/২৩)।
মামলার এজাহার ও ভাইরাল ভিডিও থেকে জানা গেছে, কামরুজ্জামান মাসুদ একজন ব্যবসায়ী। তিনি রোববার (১৬ জুলাই) ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে ফুলবাড়ি ইউনিয়নে গিয়েছিলেন। সেখানে সচিব নজরুল ইসলাম ও কম্পিউটার অপারেটর সাইফুল ইসলাম চৌধুরী তার কাছে সরকার নির্ধরিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত ফি দাবি করেন। ৪শ’ টাকার বদলে ৬৫০ টাকা না দিলে তারা লাইসেন্স নবায়ন করবেন না জানালে প্রতিবাদ করেন মাসুদ। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান ও মামলার ১নং আসামি আব্দুল হানিফ খাঁন ইউনিয়ন কার্যালয়ে উপস্থিত হন এবং মাসুদকে চড় থাপ্পড় ও ঘুষি মারতে মারতে গেইটের বাইরে নিয়ে যান। সেখান থেকে আবার তার অফিসে নিয়ে দরজা বন্ধ করে তিনজন মিলে তাকে অবর্ণনীয় শারীরিক নির্যাতন করেন।
মারধোরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নির্যাতিত মাসুদের স্বজনরা ইউনিয়ন অফিসে গিয়ে তাকে মুমূর্ষু অবস্থাায় উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে মাসুদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফয়ছল আহমদ জানান, আদালত শুনানি শেষে এবং মারধোরের ভিডিও দেখে অভিযোগকে সরাসরি এফআইআর হিসাবে গণ্য করে মামলাটি তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আজকালের মধ্যে থানায় আদালতের নির্দেশনা পৌঁছানোর পর থানা পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে ব্যবসায়ীকে মাসুদকে মারধোরের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন চেয়ারম্যান আব্দুল হানিফ খান।