ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয় থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ।
এর আগে ধোলাইখাল এলাকা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে পুলিশ বলেছিল, গয়েশ্বরকে ‘চিকিৎসার’ জন্য পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের সামনে ব্রিফিংয়ে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, বিএনপির ছোড়া ইট-পাটকেলে পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সেই ঢিল বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্রের গায়েও লেগেছিল। পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিতে তুলে গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনে। পরে তাকে নিরাপদে নয়াপল্টন কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে, তারা এমন একটু অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। সে অনুযায়ী আমরা পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করেছিলাম। কিন্তু তারপরও তারা যেভাবে পুলিশের ওপরে হামলা করেছে, তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক’, যোগ করেন হারুন অর রশীদ।
তবে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে গয়েস্বর রায় বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় আমার মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়ে পড়েছি। পরে কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত বেধড়ক পিটিয়েছে। সেখান থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে রাজারবাগের পুলিশ হাসপাতালে আমাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়েও নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে অফিসে দিয়ে গেল।’
শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ইনজুরি হওয়ার পর সুস্থ হতে সময় লাগবে। এখন স্যালাইন দিতে হবে।’
তবে এরই মধ্যে গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের সাথে গয়েশ্বর রায়ের মধ্যাহ্নভোজের একটি ছবি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।