গোয়াইনঘাটে মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট দিয়ে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপির নির্দেশনায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) সকাল থেকে উপজেলার লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের লেঙ্গুড়া গ্রামে মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি দেওয়া হচ্ছে।

এই প্লান্ট থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের শত শত মানুষ ড্রাম, কলস, বালতি যার যা আছে তাই ভরে পানি সংগ্রহ করছেন।

এছাড়াও গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়নের আলীরগাম, ফিরিজপুরসহ আশপাশের আরো কয়েকটি গ্রামেও পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, ভ্রাম্যমাণ প্লান্ট থেকে সরবরাহ করা পানিতে সাময়িক উপকার হবে মানুষের। কিন্তু এতে সংকটের স্থায়ী সমাধান হবে না। পানি সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জলাধার তৈরী করতে হবে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইউনুস আলী জানান, সংসদ সদস্যের নির্দেক্রমে দ্রুত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ একটি করে ওই দুই ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের স্টোপেজ করা হয়েছে। সেখান থেকে কয়েক গ্রামের মানুষ এসে পানি নিচ্ছেন।

উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরো জানান, একটি প্লান্ট থেকে ঘন্টায় ৬০০ লিটার করে প্রতিদিন পাঁচ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি দেওয়া যাবে। উপজেলার যেসব এলাকায় বেশি সংকট সেসব এলাকায় ঘুরে ঘুরে এই প্লান্টের মাধ্যমে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পানি সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে প্লান্টের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গোয়াইনঘাট উপজেলায় বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এর মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।’

ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি ঘন্টায় ৬০০ লিটার পানি পরিশোধনপূর্বক সরবরাহ করার সক্ষমতা রয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকার জনগণকে ১০ লিটার ধারণ ক্ষমতার জেরিকেনে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস থেকে বন্যা দুর্গত এলাকার জনগণকে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে পানির পাত্রসহ (কলস, বোতল, হাড়ি) এসে পানি নিয়ে আনার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।