সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সকল নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। ফলে ফের তৃতীয় দফায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন নিম্নাঞ্চলের লোকজন।
জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বিগত তিনদিনে (২৮ জুন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সোমবার ১ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টা) পর্যন্ত ৬৪০মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে সেখানকার আবহাওয়া অফিস। এছাড়া সোমবার (১ জুলাই) থেকে বুধবার (৩ জুলাই) পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
এদিকে ভারী বর্ষণের ফলে সোমবার (১জুলাই) উপজেলার সারিঘাট পয়েন্টে সারি নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে। সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানিপ্রবাহিত হচ্ছিল।
সপ্তাহজুড়ে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস ও নদ-নদীর পানি বাড়ার সম্ভাবনা থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ‘উপজেলায় মোট ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মোট ৪৭টি নৌকা মাঝিসহ প্রস্তুত রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকগণ পূর্বের ন্যায় একযোগে কাজ করবেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার স্বার্থে প্রতিটি ইউনিয়নে ১ জন করে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে’।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, ‘বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে উপজেলাবাসীকে আগে থেকেই সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি। এছাড়া যে সকল ঘরবাড়িতে বন্যার পানি ঢুকার সম্ভাবনা রয়েছে তাদেরকে সময় নষ্ট না করে এখনই নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে’।