‘সুখে ভরবে আগামী দিন, পেনশন এখন সর্বজনীন’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে দেশের সকল নাগরিকের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন এবং গ্রহণ করেছে নানা উদ্যোগ।
উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামের সাধারণ মানুষকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে প্রতিটি ইউনিয়নে দক্ষ ইউডিসির মাধ্যমে পেনশন স্কীম রেজিস্ট্রেশন সেবা চালু করে,গ্রামে গ্রামে হাট বাজারে সভা ও বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছানোর মাধ্যমে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম।
এখন পর্যন্ত উপজেলায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ২১০ জন এই পেনশন স্কিমের আওতায় এসেছে।যা সিলেট জেলার মাঝে সর্বোচ্চ দ্বিতীয়। এই স্কিমের আওতায় সকলকে অর্ন্তভুক্ত হওয়ার আহব্বান জানান তিনি ।
এটি প্রত্যেক নাগরিকের অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। এটি বাস্তবায়নে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সকল শ্রেণি পেশার ব্যক্তিদের নিয়ে সচেনতা মুলক সভা ও আনুষ্ঠানিকতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। পেনশন স্কিমের আর্থিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরা হচ্ছে।
গতকাল সোমবার ২২ এপ্রিল বিকেলে উপজেলার ৬ নং ফতেপুর ইউনিয়নে নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শ ও উপস্থিতিতে যুব উদ্যোক্তাদের উদ্যোগে মেগা ক্যাম্পিং এর মাধ্যমে ৪০ জন সর্বজনীন পেনশন স্কিমের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এ সময় যারা সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে তাদেরকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও ফুল দিয়ে বরণ করেন তারা।
উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিনহাজ উদ্দিন,উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক শাহাব উদ্দিন,ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মাশুক আহমদ।
মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল সকাল ১১:৩০ টায় উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে বেলা তিনটা পর্যন্ত পেনশন স্কিম রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, সাধারণ মানুষের কল্যাণে ও অর্থনৈতিক সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি একটি দূরদর্শী চিন্তাভাবনা। এটি বাস্তবায়ন হলে মানুষ শেষ বয়সে এসে জরুরী কাজে চিকিৎসায় ও ছেলে-মেয়েদের বিয়েতে লাগিয়ে এর সুবিধা ও সুফল ভোগ করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন,উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদে রেজিষ্ট্রেশন বুথের মাধ্যমে কার্যক্রম চালু রেখেছে উপজেলা প্রশাসন। অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সকলের এই পেনশনের আওতায় আসা উচিৎ। সকলের সহযোগীতায় উপজেলার জন সাধারণকে উদ্বুদ্ধ করণের মাধ্যমে পেনশন স্কিমে অর্ন্তভুক্ত হওয়ার এবং সাধারণ মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছানো হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। এছাড়াও পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিও নিরবচ্ছিন্ন ১০ বছর পেনশনের জন্য চাঁদা প্রদান করে পেনশনার হতে পারবেন।
এছাড়াও সর্বজনীন পেনশন স্কীম রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে গ্রাম পুলিশদের কে অবহিতকরণ এবং প্রতিটি গ্রামে ও ওয়ার্ড পর্যায়ে পেনশন স্কীম চালু করতে ভলান্টিয়ার এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা।