গোয়াইনঘাটে অগ্নিকান্ডে দগ্ধ চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে

সিলেটের গোয়াইনঘাটের রসুলপুর গ্রামে অগ্নিকান্ডে দগ্ধ চারজনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২৩ আগস্ট) সিওমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইয়াকুব আলী ও তার শিশুপুত্র জুবাইদকে এবং পরদিন বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ইয়াকুবের মা ও শিশুপুত্র জুনাইদকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এণ্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান চিকিৎসকরা।

আহতদের স্বজনরা জানান, তাদের চারজনেরই শরীরের বিভিন্ন স্থান মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে।

এর আগে, গত রবিবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ো বারোটার দিকে জাফলংয়ের রসুলপুর গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান একই পরিবারের ইয়াকুব মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও মেয়ে সুমাইয়া আক্তার। এ ঘটনায় দগ্ধ ও মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন পরিবারের অপর চারজন।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, ইয়াকুব মিয়া একই ঘরের একটি কক্ষে মুদি মালের দোকান এবং অপর কক্ষে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে আগুন লাগলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মা- মেয়ে মারা যান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

সেখানকার সাবেক ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার জানান, একেবারেই অসহায় ও সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে পরিবারটি। অগ্নিকাণ্ডে পরিবারের সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৮০ হাজার টাকা সহায়তা করা হয়েছে।

তবে, সার্বিক চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ ও মাথাগোঁজার ঠাঁই তৈরি করতে অনেক টাকা প্রয়োজন। প্রতিবেশীরা মিলে তাদের পাশে দাড়িয়েছেন। তবে, বিত্তবানদের সহায়তা ছাড়া পরিবারটিকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয় বলে জানান রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার।