গোয়াইনঘাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, প্রস্তুত ৫৬ আশ্রয়কেন্দ্র

গোয়াইনঘাট উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের হাওর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সারিঘাট-গোয়াইনঘাট সড়কের দুটি পয়েন্টে গোয়াইনঘাট-রাধানগর ও জাফলং সড়কের শিমুলতলায় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে হাওরাঞ্চলের বাড়িঘরের মানুষ পানিবন্দী। রুস্তমপুর, লেংগুড়া, ডৌবাড়ি, নন্দিরগাঁও, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাও, পশ্চিম জাফলং, মধ্য ও পূর্ব জাফলংয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য, স্বেচ্ছাসেবকরা আকস্মিক বন্যাজনিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত আছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম।

বুধবার (২৯ মে) দুপুরের তথ্য অনুযায়ী, গোয়াইনঘাট ব্রীজ পয়েন্টে পানির লেভেল ১০.১১ মিটার ( বন্যাসীমা: ১০.৮২) এবং সারিঘাট পয়েন্টে পানির লেভেল ১২.৮৮ ( বিপদ সীমা: ১২.৩৫)। যা বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

বৈরী আবহাওয়া ও বন্যার কারণে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক নির্দেশনাসহ ৫৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাছাড়া বাড়িতে পানি ঢুকার সম্ভাবনা দেখা দিলে বাড়িতে অবস্থান না করে অবশ্যই নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

একইসাথে পাহাড়ি এলাকার পাদদেশে বসবাসকারীদের অতিসত্ত্বর পাহাড় ধস ও মাটি ধসজনিত দুর্ঘটনা এড়াতে উপজেলা প্রশাসনের নির্ধারিত নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম।

এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত নৌকা প্রস্তুত রাখার কথা বলা হয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসিয়াল মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।