নিম্নতম মজুরি বোর্ড কর্তৃক প্রণীত গেজেট প্রত্যাখ্যান করে মানববন্ধন করেছে চা শ্রমিকরা।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকালে চা বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ এর উদ্যোগে সিলেটের লাক্কাতুরা রেস্ট ক্যাম্প বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
চা বাগান অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সংগঠক অধীর বাউরির সভাপতিত্বে ও রানা বাউরির সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, চা বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সংগঠক সঞ্জয় কান্ত দাস, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক আজিত রায় প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নিম্নতম মজুরি বোর্ড কর্তৃক সম্পাদিত গেজেট সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক উপায়ে প্রণীত হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী চা শ্রমিকদের মজুরি সংক্রান্ত গেজেট সরকার, মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের (ত্রিপক্ষীয়) আলাপ আলোচনায় সম্পাদিত হয়। কিন্তু এই গেজেটটি শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে কোন আলাপ-আলোচনা ছাড়াই গৃহীত হয়েছে । গেজেটটিতে প্রতি বছর পাঁচ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে চা শ্রমিকদের মজুরি মাত্র ১৭০ টাকা। পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি হলে মজুরি বাড়বে মাত্র ৮.৫ টাকা। আমরা দেখেছি গত কয়েক বছর ধরে জিনিসপত্রের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্বিগুণ বা তিন গুণ হচ্ছে। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা সামনের সময়ে দ্রব্যমূল আরও বাড়বে।
এ অবস্থায় মাত্র পাঁচ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি চা শ্রমিকদের সাথে চূড়ান্ত প্রতারণা। শুধু তাই নয়, গেজেট অনুযায়ী মজুরি প্রশ্নে শ্রমিক প্রতিনিধিদের আলোচনা সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যা চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক।
শুধু তাই নয়, পূর্বে ৫২দিনের মজুরির সমপরিমাণ বোনাস প্রধানের নিয়ম থাকলেও গেজেটে তা কমিয়ে ৪৭ দিন করা হয়েছে। একই সাথে আমরা দেখছি, মালিকরা নিরিখ পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। এমনকি, বকেয়া এরিয়ার বিল ৩১ হাজার টাকা মধ্যে মাত্র ১১ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা বলছে মালিকরা।”
বক্তারা অবিলম্বে চা শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী গেজেট বাতিল করে ৫০০ টাকা মজুরি প্রণয়ন ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন করার আহ্বান জানান।