পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাসহ ৫২ উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ২৬ হাজার ২২৯টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ তথ্য দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী যে ৫২টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা হবে সেগুলো হলো- ঢাকার নবাবগঞ্জ; মাদারীপুরের মাদারীপুর সদর; শরীয়তপুরের ডামুড্যা; কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী; টাঙ্গাইলের গোপালপুর; মানিকগঞ্জের ঘিওর ও সাটুরিয়া; রাজবাড়ীর কালুখালী; ফরিদপুরের নগরকান্দা; নেত্রকোনার মদন; ময়মনসিংহের ভালুকা, নান্দাইল, ফুলপুর ও ফুলবাড়িয়া; জামালপুরের বক্সীগঞ্জ; চট্টগ্রামের পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া; লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও রামগঞ্জ; ফেনীর ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম।
তালিকায় আরও রয়েছে- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ; পঞ্চগড়ের আটোয়ারী, পঞ্চগড় সদর, দেবীগঞ্জ, তেঁতুলিয়া ও বোদা; দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ; ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী; নীলফামারীর ডিমলা; নওগাঁর রাণীনগর; জয়পুরহাটের পাঁচবিবি; রাজশাহীর মোহনপুর, চারঘাট ও বাঘা; বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও দুপচাঁচিয়া; নাটোরের বাগাতিপাড়া; পাবনার ঈশ্বরদী; চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ; ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু; সাতক্ষীরার তালা; মাগুরার মাগুরা সদর, শ্রীপুর, মহম্মদপুর ও শালিখা; ঝালকাঠির কাঠালিয়া এবং পটুয়াখালীর দশমিনা।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন দেশে কেউ যেন ভূমি ও ঠিকানাহীন না থাকে সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এছাড়া কোনো মানুষ যেন ছিন্নমূল না থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
সরকারপ্রধান বলেন, ঘর পাওয়ার পর মানুষের মুখে যে হাসি এর চেয়ে বড় কিছু পাওয়ার থাকে না।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।
আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে দেশব্যাপী মোট ৬৭ হাজার ৮০০টি ঘর দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে এবং বাকি আট হাজার ৬৬৭টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২০২২ পর্যন্ত এক লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি, ৬৩ হাজার ৯৯৯ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার তাদের মাথার ওপর ছাদ পায়। আর গত বছরের ২০ জুন আশ্রায়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৩০টি পরিবার ঘর পায়।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে সরকার ঘরগুলোকে অধিকতর টেকসই ও জলবায়ু সহিষ্ণু করে গড়ে তুলতে ঘরগুলোর নকশা পরিবর্তন করে। এতে ঘরগুলোর নির্মাণ খরচ বেড়ে যায়।
ঘরগুলোকে অধিকতর টেকসই করে গড়ে তোলায় প্রতিটি ঘরের নির্মাণব্যয় এক লাখ ৯১ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে দুই লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত হয়।
ঘূর্ণিঝড় কিংবা বন্যার মতো যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি মাথায় রেখে বিশেষভাবে স্থানান্তরযোগ্য করে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।