গুঞ্জনটা বেশ কিছু দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে এসেছে চূড়ান্ত ঘোষণা। ইউরোপীয় ফুটবলে ইতি ঘটল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যুগের। প্রায় দেড় মাস দলবিহীন থাকার পর রোনালদো যোগ দিলেন সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে।
বিশ্বকাপের আগে বহু আলোচনার জন্ম দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোনালদো তার সবশেষ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ ও কোচ এরিক টেন হ্যাগের কড়া সমালোচনা করেন। এর কয়েক দিন পরই দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার ভিত্তিতে রোনালদোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে রেড ডেভিলরা। রোনালদো এর পর থেকেই ছিলেন কোনো ক্লাব ছাড়া।
গুঞ্জনটা ডালপালা মেলতে শুরু করে তখন। রোনালদো নাকি সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিচ্ছেন! এবার সেই গুঞ্জন বাস্তবে রূপ নিল। দুই পক্ষের আলোচনা শেষে এবার চুক্তির ঘোষণা এলো। এই চুক্তির ফলে আগামী দুই বছর সৌদি ক্লাব আল নাসরে দেখা যাবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে।
দ্বিতীয় দফায় গেল বছরের আগস্টে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছিলেন রোনালদো। নিজে গোল করলেও দলের পারফর্ম্যান্সটা গিয়েছিল পড়ে। আগের বারের রানার্স আপরা গেল মৌসুমে লিগ শেষ করেছিল ছয়ে থেকে। ফলে ফসকে গিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগটাও।
সে কারণে গত গ্রীষ্মে রোনালদো ম্যান ইউনাইটেড ছাড়তে চেয়েছিলেন, যেতে চেয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা কোনো ক্লাবে। তবে তার সে চেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি। শেষ পর্যন্ত কোথাও যেতে না পারায় ম্যান ইউতেই থেকে যেতে হয় তাকে।
মৌসুম শুরুর পর থেকেই নতুন কোচ এরিক টেন হ্যাগের পরিকল্পনা থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। বেশিরভাগ ম্যাচ থাকতে হয়ে বেঞ্চে বসে। এমন পরিস্থিতিতে চটে গিয়ে রোনালদো বিস্ফোরক এক সাক্ষাৎকার দেন ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ ও কোচের বিরুদ্ধে। সেটাই ইউনাইটেডে তার দ্বিতীয় দফার বিয়োগাত্মক এক ইতি টেনে দেয়।
এবার আল নাসরে যোগ দিলেন তিনি। তাতে ৩৭ বছর বয়সী এই তারকার ইউরোপীয় ফুটবলের ক্যারিয়ারটাও কার্যত শেষ হয়ে গেল। সৌদি এই ক্লাবের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ যখন শেষ হয়ে যাবে, তখন যে ৪০ ছোঁয়ার অপেক্ষায় থাকবেন তিনি!