দ্বিতীয় বারের মতো গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ৫ হাজার ৫২৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৫ হাজার ২২৭ জন, অর্থাৎ ৯৫ শতাংশ। অনুপস্থিত ছিল ৩০২ জন, অর্থাৎ ৫ শতাংশ। এতে বিশ্ববিদ্যায়ের ৭টি ভবন, শাহজালাল ইউনিভার্সিটি স্কুল, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) স্কুলে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইল বলেন, আমরা সকাল থেকে ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের আশেপাশে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। এতে প্রক্টরিয়াল বডিসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। তাই কোন রকম অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ছাড়াই আমরা পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পেরেছি।
এদিকে এ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াতে সুবিধার্থে সিলেটের বিভিন্ন রুটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ২০টি বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী।
এদিন দুপুরে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। পরিদর্শনকালে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, পরিচালক, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমেনা পারভিন, ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার, সদস্য সচিব জনাব ইসরাত ইবনে ইসমাইল উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া আগামী ১৩ আগস্ট গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় কলা অনুষদ ‘বি’ ইউনিটে শাবিপ্রবিতে অংশ নিবেন ২ হাজার ২৩১ জন, ২০ আগস্ট বাণিজ্য অনুষদ ‘সি’ ইউনিটে অংশ নিবেন ৮৩০ জন।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের দাবি, এইচএসসির মতো ভর্তি পরীক্ষায়ও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। তবে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস থেকে ‘ক’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। ফলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসে তারা বিপাকে পড়েছেন।
তবে বোর্ডের নির্ধারিত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস থেকেই প্রশ্ন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক। কোনো পরীক্ষার্থীর অভিযোগ থাকলে তা লিখিত আকারে ভর্তি কমিটিকে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।