অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তানের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছেন গাধার খামারিরা। সম্প্রতি প্রকাশিত এক অর্থনৈতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটির গাধার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ লাখে। ফলে গাধা উৎপাদনে বিশ্বে পাকিস্তানের অবস্থান এখন তৃতীয়।
পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক বছর ধরেই গাধার সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২০ সালে দেশটিতে গাধা ছিল ৫৫ লাখ। ২০২১ সালে তা ৫৬ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এছাড়া দেশটিতে গরুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটিতে। এছাড়া মহিষ ৪ কোটি, ভেড়া ৩ কোটি ও ছাগল ৩ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
২০২১-২২ সালে কৃষিতে পশুসম্পদ প্রায় ৬২ শতাংশ মূল্য সংযোজন করেছে। আর জিডিপিতে অবদান রেখেছে শতকরা ১৪ ভাগ।
পাকিস্তানের গ্রামীণ অর্থনীতিতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে গবাদি পশু। ৮০ লাখের বেশি গ্রামীণ পরিবার পশুসম্পদ উৎপাদনে নিযুক্ত আছে। তাদের বার্ষিক আয়ের প্রায় ৩৫-৪০ শতাংশ আসে এই খাত থেকে।
গাধাসহ অন্যান্য গবাদি পশুর উৎপাদন বাড়ায় পশুসম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫২ লাখ ৯৬ হাজার কোটি রুপিতে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে যা বিশাল ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।