গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (২৬ মে) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘গাজীপুরের সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব। দেশের একটি মহল দিন রাত শেখ হাসিনার দুর্নাম করে বেড়ায়। তারা শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়। শেখ হাসিনা বলেছেন সহ্য করতে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুর যে সিটি নির্বাচন হয়েছে, আগামীতে আরও চারটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচন একইভাবে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা দেশ দিয়ে গেছেন, আজ তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে উন্নত সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জালানি সংকট, এটা সারা বিশ্বের সংকট। শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে দেশের বাইরে গেছেন দুই দিনের জন্য আবারও কাতার গেছেন সেখানকার আমিরের সঙ্গে এ চুক্তি করেছেন, দেশের জন্য জ্বালানি নিশ্চয়তা নিয়ে এসেছেন। কাতারের আমির আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশের জ্বালানির সংকট হবে না। তিনি নিজের জন্য যাননি তিনি গেছেন দেশের মানুষের জন্য। এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, গরিব মানুষ যাতে কষ্ট না পায়,সাধারণ মানুষ যেন ভোগান্তিতে না পড়ে, নিত্য-পণ্য যাতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকতে পারে, তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর রাতে ঘুম নেই, নিজের ঘুমকে, আরামকে তুচ্ছ করে দেশের জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজকে আমাদের মাঝে আছেন, তিনি আছেন বলে আমরা আশ্বস্ত হই, মানুষ আস্থা পায়। মানুষ বলে বঙ্গবন্ধুর কন্যা দুর্নীতি করতে পারেন না, বঙ্গবন্ধুর কন্যা মিথ্যা কথা বলেন না, বঙ্গবন্ধুর কন্যা নিজের ভাগ্য উন্নয়ন বড় মনে করে না, জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন বড় মনে করেন। তিনি জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন চান, নিজেদের পকেটের উন্নয়ন চান না। এই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যখন মির্জা ফখরুলরা গালিগালাজের ভাষায় কথা বলে, হত্যার হুমকি দেন, বাংলাদেশের মানুষ কষ্ট পায়। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিলে তোমাদের ভোট চলে যাবে। আরও কমে যাবে। কম কমতে তলানিতে গিয়ে ঠেকবে।