গণতন্ত্র ফেরাতে আমরা প্রাণ দিতে প্রস্তুত : কাইয়ুম চৌধুরী

নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা প্রদান করে নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, জোর করে আর কতদিন ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখবেন? সংসদ বিলুপ্ত করে একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে করে সংসদ নির্বাচন দিন। তখন দেশের মানুষ ভোট দিতে পারবে, দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, দেশে আইনের শাসন ফিরে আসবে।

তিনি বলেন, এখনও সময় আছে জনগণের মুখের ভাষা বুঝুন। তা না হলে পালাবার পথও খুঁজে পাবেন না। আমরা বিশ্বাস করি, এদেশের মানুষ অন্যায়কে কোনোদিন মেনে নেয়নি, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাউকে জয়ী হতে দেয়নি। এদেশের মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করেছে, সেই লড়াই আজও অব্যাহত আছে। দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে প্রয়োজনে আমরা প্রাণ দিতেও প্রস্তুত।

বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে উপজেলা সদরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা মানুষের মৌলিক অধিকারকে ফিরিয়ে আনতে চাই। গণতন্ত্রকে মুক্ত করার যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, দেশে গণতন্ত্র ফিরে না আসা পর্যন্ত সেই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটাধিকার ও বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ দিশেহারা। বিএনপি মানুষের অধিকারকে রক্ষা করার জন্য আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনে আমাদের ভাইয়েরা শহীদ হচ্ছেন। এই শহীদদের রক্তের বন্যায় ফ্যাসিস্ট সরকার ভেসে যাবে ইনশাআল্লাহ।

সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিএনপি নেতা আশিক চৌধুরী, মাহবুবুর রব চৌধুরী, শামীম আহমদ, শাহাব উদ্দীন, কোহিনুর আহমদ, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, গোলাম রব্বানী, অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম, সুরমান আলী, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ, আজিজুল হোসেন আজিজ, আলতাফ হোসেন সুমন, দেলোয়ার হোসেন দিনার, নূরুল হোসেন বুলবুল, নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমদ, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, মাহবুব আলম, এখলাছুর রহমান মুন্না, শাহিন আলম জয়, শাহ মাহমদ আলী, আবু আহমদ আনসারী, মকসুদুল করিম নুহেল, হাজী আছাদ, এহতেশাম হক সবুজ, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ, আল মামুন হিরা, ফখরুল আলম, সৈয়দ আমিরুল হক সলিড, মোফাজ্জল চৌধুরী মোর্শদ প্রমুখ।