গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লড়াই অব্যাহত থাকবে: ওবায়দুল কাদের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লড়াই অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন স্কয়ারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

গণতন্ত্র একটি বিকাশমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্র কোনও ম্যাজিক্যাল ট্রান্সফরমেশন নয় যে রাতারাতি পরিবর্তন হয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার আন্দোলন করেছেন। এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপি সরকারে থাকতেও গণতন্ত্রের ক্ষতি করেছিল, বিরোধী দলে গিয়েও তারা গণতন্ত্রের ক্ষতি করেছে।’

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নিজেরা প্রতিজ্ঞা করুক, তারা আগুন-সন্ত্রাস করবে না। সেটি তারা মাঠে বাস্তবায়ন করুক। সমাবেশে লাঠি নিয়ে কেন তাদের নেতাকর্মীদের বের হতে হবে? জাতীয় পতাকা লাঠির সঙ্গে বেঁধে তারা আন্দোলন করবে, এটাও তো আরেক সন্ত্রাস। এটা বন্ধ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্দোলনে গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে, শৃঙ্খল মুক্তি পেয়েছে, কিন্ত গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বাংলাদেশে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। গণতন্ত্রকে বারবার বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। ১৫ আগস্টে রাজনৈতিক সম্পর্কে বিভিন্ন দলের যে উঁচু দেয়াল বিএনপি তুলেছিল, সেই দেয়াল ৩ নভেম্বর আরও উঁচু হলো। ২১ আগস্ট আরও উচ্চতা পেলো।

১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মিছিলে শহীদ হন নূর হোসেন।

দিনটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রথমে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ফুল দিয়ে নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, উপ-দফতর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম মিলন, এবিএম রিজাউল কবির কাউছার, মারুফা আক্তার পপি, আনিসুর রহমান, আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ নূর হোসেনের সংগঠন যুবলীগসহ দলের সহযোগী ও ভ্রতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা দিবসটি উপলক্ষে শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।