রেজা কিবিরিয়া নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদকে নিবন্ধন না দেওয়া কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
নির্বাচন কমিশনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একলাস উদ্দিন ভূঁইয়া। ইসির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আনিছুজ্জামান।
গত ১৩ নভেম্বর রাজনৈতিক দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদকে নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন দলটির একাংশের সভাপতি ড. রেজা কিবরিয়া। রিটে গণঅধিকার পরিষদকে নিবন্ধন দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
গণঅধিকার পরিষদকে নিবন্ধন না দেওয়ার কারণ জানিয়ে গত ২৯ আগস্ট ড. রেজা কিবরিয়াকে ইসির উপসচিব মো. আব্দুল হালিম খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি কর্তৃক প্রেরিত তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে— গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের শর্ত প্রতিপালিত হয়েছে। তবে দলটির সরবরাহকৃত ১৪১টি উপজেলা/থানা পর্যায়ের তথ্য যাচাই করে মাত্র ৬৩টি জায়গায় দলটির নিবন্ধনের শর্ত প্রতিপালনের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়। অবশিষ্ট ৭৮টি উপজেলা/থানা অফিস এবং নির্ধারিত সংখ্যক ভোটার সদস্য থাকার তথ্য অর্থাৎ নিবন্ধনের শর্ত প্রতিপালনের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়নি। দলটি কর্তৃক নিবন্ধনের শর্ত যথাযথভাবে প্রতিপালিত না হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের নিকট দলটি নিবন্ধনযোগ্য বিবেচিত হয়নি। এমতাবস্থায়, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি-৭ এর উপবিধি (৬) অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গণঅধিকার পরিষদ নামীয় দলের আবেদন না-মঞ্জুরপূর্বক নিষ্পত্তি করেছেন।’