পূর্বাঞ্চলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার মধ্যেই দকৌশলগত খেরসন পুনরুদ্ধারে বড় ধরনের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে দক্ষিণের ফ্রন্টে থাকা ইউক্রেনীয় সেনারা। এ বিষয়ে বিস্তারিত না জানালেও বুধবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, সামনে ভালো খবর আসছে।
এদিকে ইউক্রেনের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, দখলকৃত খেরসনের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে রুশ সেনারা ‘তীব্রতম লড়াইয়ের’ প্রস্তুতি নিচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহরটি রাশিয়া ও ইউক্রেনের জন্য কৌশলগত কারণে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যে শহরটি থেকে বেসামরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় রুশ কর্তৃপক্ষ।
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত খেরসন, যেটি যুদ্ধের শুরুর দিকেই দখল করে নেয় রুশ বাহিনী। আর সেপ্টেম্বরে অঞ্চলটিকে রাশিয়ার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সংযুক্তির ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। খেরসনে কী ঘটছে বুধবার ভার্চুয়ালি ভাষণে জেলেনস্কি তা উল্লেখ না করলেও কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সামরিক বিশ্লেষকরা পূর্ভাবাস দিয়েছেন যে, গত আট মাস আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর যুদ্ধের সবচেয়ে জোরালো লড়াই হতে যাচ্ছে খেরসনে।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আরও বলেন, দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর লড়াইটি পূর্ব ইউক্রেনের ডনেস্কের বাইরে আভদিভকা ও বাখমুতে হয়েছে। রাশিয়ার কমান্ডের পাগলামি এখানেই স্পষ্ট। গত কয়েক মাসে রুশ সেনারা সর্বোচ্চ আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এর মধ্যে কিয়েভের সেনারা বেশ কিছু গ্রাম মুক্ত করেছে রুশ বাহিনীর কাছ থেকে। ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে মোতায়েনকৃত রুশ সেনারা ইউক্রেনীয়দের ঘেরাওয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। স্থানীয় রুশ কর্তৃপক্ষ শহরের বাসিন্দাদের নদীর পূর্ব তীরে চলে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এক উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্টোভিচ বলেন, খেরসন থেকে রুশ সেনাদের পিছু হটার কোনও ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। সব কিছুই স্পষ্ট। রাশিয়া নিজেদের শক্তিশালী করছে, পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এর অর্থ হলো কেউ শহর ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে না। উল্টো খেরসনে তীব্রতম লড়াই হতে চলেছে।
সূত্র: রয়টার্স, এএফপি