প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে রওনা হয়েছেন যশোরের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে যশোরের বিভিন্ন স্টেশন থেকে ১১টি বিশেষ ট্রেন এবং ৬৫০টি বাসে হাজার হাজার নেতাকর্মী খুলনার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। জেলার বিভিন্ন স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ড থেকে নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত ট্রেন এবং বাসগুলো খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়।
নেতাকর্মীদের ভাষ্য, যশোরের ৮ উপজেলা থেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় লক্ষাধিক কর্মী ও সমর্থক অংশ নেবেন।
এ বিষয়ে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি বলেন, শহর থেকে শুরু করে তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা খুবই উচ্ছ্বসিত। জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এবং দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে বিশেষ পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেবেন।
তিনি জানান, রেলওয়ের কাছ থেকে ১১টি ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে। জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭০ টাকা ভাড়ার টিকিট ট্রেনে যাওয়া নেতাকর্মীদের হাতে আগেই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বাস মালিক সমিতির মাধ্যমে ৬৫০টি বাস ভাড়া করা হয়েছে। তারা যশোর থেকে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ জমায়েত করার টার্গেট করেছেন।
জেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ১১টি ট্রেনের মধ্যে যশোর রেলস্টেশন থেকে ছয়টি, অভয়নগরের নওয়াপাড়া রেলস্টেশন থেকে দুটি, ঝিকরগাছার নাভারন ও বেনাপোল রেলস্টেশন থেকে দুটি করে ট্রেন খুলনার উদ্দেশে ছেড়েছে। এ ছাড়া আট উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ৬৫০টি বাস নেতাকর্মীদের নিয়ে খুলনায় ছেড়ে যাচ্ছে।
যশোর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার আয়নাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে নেতাকর্মীরা যেতে যশোর জেলার অভয়নগর, সদর, ঝিকরগাছা ও বেনাপোল স্টেশন থেকে ৮টি এবং কুষ্টিয়া চুয়াডাঙ্গা থেকে তিনটি ১১টি ট্রেন ভাড়া নিয়েছে যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। নির্দিষ্ট যাত্রী নিয়ে এসব ট্রেন আপডাউন করবে।
তিনি বলেন, যশোর খুলনা রুটের নিয়মিত ৬টি ট্রেন এবং সোমবার চিত্রা ও সুন্দরবন নামে দুটি ট্রেন বন্ধ থাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় ৮টি ট্রেন যশোর থেকে খুলনায় যাবে।
এ ছাড়া বিভিন্ন ট্রেনের বিভিন্ন বগি নিয়ে তিনটি ট্রেন বানানো হয়েছে। সেগুলোর নামে দেওয়া হয়েছে যশোর এক্সপ্রেস। ফলে অন্য জেলায় যাতায়াতকারী বা এই রুটে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।