খাবারে বিষক্রিয়া : ৪ মাদ্রাসাছাত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক

গাইবান্ধা শহরের ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় রান্না করা খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া ১৬ ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাত্রাতিরিক্ত জ্বর, অস্বাভাবিক পাতলা পায়খানা-বমি ও শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে গাইবান্ধার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রংপুরে রেফার করে।

ওই চারজন ছাত্র হলেন, হাসান (১০), হোসাইন (১০), তারেক (১২) ও মোজাহেদুল (১০)। এদের মধ্যে হাসান ও হোসাইন দুই জমজ ভাই।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এএসএম রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রংপুরে রেফার করা চার ছাত্রের ১০৪ ডিগ্রির ওপরে জ্বর এবং অস্বাভাবিক পাতলা পায়খানার সঙ্গে বমি, যা অস্বাভাবিক। কেননা ১০৪ ডিগ্রির বেশি জ্বর হলে শ্বাসকষ্টের সঙ্গে অতিরিক্ত খিচুনী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তখন আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে। যা আমাদের হসপিটালে নেই। তাই তাদেরকে রংপুর মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।

এর আগে একইদিন সকালে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের ১৬ ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। ওই সময় আবাসিক মেডিকেল অফিসার এএসএম রুহুল আমিন বলেন, সকালে গাইবান্ধার ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার ১৫ থেকে ১৬ জন শিক্ষার্থী ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তাদের সবাইকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে (বিভাগে) তাদের চিকিৎসা চলছে।

এসময় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের ফুড পয়জনিং (খাবারে বিষক্রিয়া) হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা মানসুর রাহমান বলেন, ‘মাদরাসায় প্রায় ২০০ জন ছাত্র। সবাই আবাসিকে থাকে। তারা তিনবেলাই মাদরাসার রান্না করা খাবার খায়। প্রতিদিনের মতো গতরাতেও তারা স্বাভাবিক (সাদা ভাত, ডাল ও শিম ভাজি) খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ে। এরপর রাত ২টার দিকে হঠাৎ কয়েকটা ছাত্রের পাতলা পায়খানা হয় এবং কয়েকটা ছাত্র পাতলা পায়খানার সঙ্গে বমিও করে। পরে আমরা স্যালাইনসহ প্রাথমিক ওষুধ খাওয়াই। তারপরেও পায়খানা-বমির বিষয়টি কন্ট্রোল না হওয়ায় আমরা সকালে তাদেরকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। আমরা প্রত্যেক ছাত্রের অভিভাবকে খবর দিয়েছি।’