ক্ষমা চাইলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস

বিতর্কিত ‘মিনি-বাজেট’ প্রণয়নের দায় নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তিনি বলেছেন, ‘আমি দায় স্বীকার করতে চাই এবং যে ভুলগুলো হয়েছে তার জন্য দুঃখিত…।’ তবে এজন্য তিনি পদত্যাগ করছেন না। বরং পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দেবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) এক সাক্ষাৎকারে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি কাজ করতে চেয়েছিলাম, করের সমস্যা মোকাবিলা এবং জ্বালানি বিল নিয়ে সাহায্য করতে, কিন্তু আমরা খুব বেশি এবং খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি’।

২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ভোট দেওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক সংকটে জর্জরিত ব্রিটেন এ পর্যন্ত তিন প্রধানমন্ত্রীকে হারিয়েছে। ট্যাক্স কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত মাসে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বে জয়ী হয়েছেন ট্রাস। ক্ষমতায় এসেই এরই মধ্যে অজনপ্রিয় বাজেট প্রণয়ন এবং কিছু অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। এসব পদক্ষেপ তার দলকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে। এখন তিনি রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকার লড়াই করছেন।

অল্প সময়ের এই প্রধানমন্ত্রিত্ব ‘নিখুঁত ছিল না’, তবে নিজের ভুল ‘শুধরে’ নিয়েছেন বলে সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন লিজ ট্রাস। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে লিজ ট্রাস আরও বলেন, তিনি যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য এখনও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে এটি অর্জন করতে যে এখন আরও বেশি সময় লাগবে, সেটাও স্বীকার করেছেন তিনি।

লিজ ট্রাস বলেন, তার অধীনে যেসব ভুল হয়েছে সেজন্য তিনি দুঃখিত। তবে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা এখন তার অগ্রাধিকার।

অর্থনৈতিক এই বিশৃঙ্খলায় তার প্রধানমন্ত্রী লিজের নিজের দলেও অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টিরই শতাধিক সংসদ সদস্য (এমপি) ট্রাসের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন। আর এতে করে জনমত জরিপে বিরোধী লেবার পার্টির চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই ধাক্কায় আগামী সাধারণ নির্বাচনেও অনেক আসন হারাতে পারে কনজারভেটিভ পার্টির।