কাতার বিশ্বকাপের চতুর্থ দিনের প্রথম ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে। এ ম্যাচে গত বিশ্বকাপের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া মাঠে নামে মরক্কোর বিপক্ষে। এটি দুদলের প্রথম ম্যাচ।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় আল-বাইত স্টেডিয়ামে মাঠে নামে ক্রোয়েশিয়া ও মরক্কো।
ম্যাচে প্রথমার্ধে ৪টি শটে আঘাত হানলেও গোলের দেখা পায়নি ক্রোয়েশিয়া। তবে একটি শট টার্গেটে থাকলেও গোল হয়নি। অপরদিকে আক্রমণে পিছিয়ে ছিলনা মরক্কো। তারা ৫টি শট নিলেও একটিও অন টার্গেটে ছিল না। এতে প্রথমার্ধ শেষে গোল শূন্য ০-০ ব্যবধানে মাঠ ছাড়ে দুদল।
পরে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে ফাউল করে হলুদ কার্ড পান মরক্কোর মিড ফিল্ডার আমরাবাত। ম্যাচের শেষ দিকে দুদলের ডিফেন্স ভেদ করে জালে বল পাঠাতে পারেনি কোনো দল। ম্যাচটি গোলশূন্যতে ড্র হয়।
ম্যাচে শেষ পর্যন্ত দুটি শট অনটার্গেটে থাকলেও গোল পায়নি ক্রোয়েশিয়া। এছাড়া দ্বিতীয়ার্ধে ৩টি শট নেয় মরক্কো। এরমধ্যে দুটো ছিল অন টার্গেট। তবু জালের দেখায় পায়নি বল।
ম্যাচের শুরুতে ২ মিনিটের মাথায় মরক্কোর ফাউলে ফ্রি কিক পেয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। তবে লুকা মদ্রিচের লম্বা কিক মরক্কোর ডিফেন্স ভেদ করতে পারেনি। পরে ম্যাচের ৮ মিনিটে পাল্টা পাল্টা পাল্টি ফ্রি কিক পায় দুদল। তবে ম্যাচের ১৭ মিনিটের মাথায় একটি সুযোগ পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। বক্সের বাইরে থেকে পেরিসিচের বা পায়ের লম্বা শটটি মিস হয়ে যায়।
তবে শুরু থেকে ম্যাচে আধিপত্য ধরে রাখে ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ২০ মিনিটের মধ্যে মরক্কো শিবিরে দুটি আঘাত হানলেও গোলের দেখা পায়নি তারা। তবে সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা আঘাত হানেন মরক্কোর হাকিমির বা পায়ের লম্বা শট ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্সে আটকে যায়।
এছাড়া ২৫ মিনিটের মধ্যে দুটি কর্ণার কিক পেলেও গোল আদায় করতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচ গড়িয়ে ৩০ মিনিটে এলে আক্রামণ পাল্টা আক্রমণ বাড়াতে থাকে দুদল। ৫ মিনিটে ৪টি ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারি। ফাউলের ছড়াছড়ির ম্যাচে প্রথমার্ধে দুদল মোট ১২টি ফাউল করেন। তবে প্রথমার্ধ পর্যন্ত ম্যাচের ৫৮ ভাগ সময় পর্যন্ত বল থাকে ক্রোয়েশিয়ার দখলে। বাকি ৪২ ভাগ ছিল মরক্কোর শিবিরে। ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়া ৪টি শটে আঘাত হানলেও আক্রমণে পিছিয়ে ছিল না মরক্কো। তারা ৫টি আঘাত হানে। তবে গোলের দেখা পায়নি কেউ।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে গাভারদিয়ল বল নিয়ে মরক্কো শিবিরে ঢুকে পড়োলে অফসাইডের বাঁশি বেজে উঠে। বদলি খেলোয়ার মারিও প্যাসালিক অফসাইডের শিকার হন।
ম্যাচের ৭৮ মিনিটে ফাউল করে হলুদ কার্ড পান মরক্কোর মিড ফিল্ডার আমরাবাত। ম্যাচের শেষ দিকে দুদলের ডিফেন্স ভেদ করে জালে বল পাঠাতে পারেনি কোনো দল। ম্যাচটি গোলশূন্যতে ড্র হয়।