আজ শনিবার (২৫ মার্চ) যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে গণহত্যা দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠে গণহত্যার স্মৃতিচারণ।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. রোকনুজ্জামান খাঁন, এইসি; বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার মো. আফতাব উদ্দিন (অব.), উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক নিরীহ বাঙালির ওপর অতর্কিত আক্রমণ ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে বক্তব্য দেন নির্বাচিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এরপর বিশেষ অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার মো. আফতাব উদ্দিন (অব.) তার স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্যে ২৫ মার্চ কালরাতে অপারেশন সার্চলাইট নামে পরিচালিত বাঙালি জাতির উপর নির্মম গণহত্যার বর্ণনা তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে উপস্থাপন করেন। এছাড়া তিনি গণহত্যার ওপর শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গণহত্যার শিকার সকল শহিদকে।
তিনি বলেন,বাঙালি জাতিকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার উদ্দেশে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। এটি ছিল একটি প্রজন্মকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার এক নারকীয় পরিকল্পনা। বিশ্ব ইতিহাসে এমন গণহত্যার নজির আর নেই।
তিনি এই দিনে আত্মত্যাগকারী শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁদের আদর্শে শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতি গঠনে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান হয়ে দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীরূপে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। এছাড়া দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের নৈতিকতাসম্পন্ন, মানবিক গুণে সৃষ্টিশীল, আত্মপ্রত্যয়ী এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সুনাগরিক হতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।