ঢলের পানিতে একাকার কোম্পানীগঞ্জ, ফের চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা

সিলেটের সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে মুহুর্মুহু বাড়ছে পানি। এমন বাস্তবতায় ফের চোখ রাঙাচ্ছে ভয়াবহ বন্যা।

উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। বাড়িঘরের পাশাপাশি তলিয়ে যাচ্ছে উপজেলার সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে লোকালয়ে ঢুকে ভয়াবহ বন্যায় রুপ নিচ্ছে।

বুধবার সকাল ১০টায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৪নং ইছাকলস ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের সকল গ্রাম বন্যার পানিতে মানুষের বাড়ি-ঘরে রাতের বেলায় প্রবেশ করেছে। সকাল থেকে পানি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঐ ইউনিয়নের সকল পাকা ও মাটির সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে করে মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইছাকলস ইউনিয়নের সকল সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় শিক্ষা-কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। উঁচু স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে বন্যাদুর্গত মানুষ।

ইছাকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান সাজু জানিয়েছেন, ‘কয়েক সাপ্তাহের আগের বন্যার পানি রাস্তাঘাট ও মানুষের আঙিনা থেকে নামা শেষ হওয়ার আগেই আবার বন্যার পানি মানুষের বাড়ি ঘরে ঢুকছে। আমার ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের সকল গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের ঘরের মধ্যে পানি। বন্যাদুর্গত এসব মানুষদের দ্রুত ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন।’

বুধবার কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী জানিয়েছেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ টু থানা কমপ্লেক্স সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। থানাসহ উপজেলা সদরে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। উপজেলার নিম্নাঞ্চলে মানুষের বাড়ি ঘরে পানি উঠছে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সারিঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আজ সকাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসাথে ধলাই নদীর পানীয় বাড়ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।