সিলেটের সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নদ-নদীতে বাড়ছে পাহাড়ি ঢলের পানি। যার ফলে ফের বন্যার আতঙ্ক দিন পাড় করছে উপজেলার বাসিন্দারা। মাত্র দুই সাপ্তাহ আগেই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি ছিল এই উপজেলায়। বন্যার পানি গেলেও ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠতে পারি নাই এর মাঝে আবার পাহাড়ি ঢাল ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে কোম্পানীগঞ্জের নিম্নাঞ্চল।
মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকেলে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের খুঁজ নিয়ে জানাযায়, গত তিন দিনে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার সব কটি নদীর পানি দুই-তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদ-নদী ছাড়াও হাওর এবং লোকালয়ে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। মে মাসের শেষ দিকের প্রায় এক সপ্তাহ স্থায়ী ঐ বন্যায় কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়। সেই বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই এবার আরেক দফা বন্যার আশঙ্কা গ্রামগঞ্জের মানুষকে দুশ্চিনায় ফেলে দিয়েছে।
উজানে বরাক উপত্যাকায়ও বিরামহীন ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে সিলেটের নদ-নদীর পানি বেড়েই চলছে। যে কারণে আবারও বড় বন্যার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা। এরইমধ্যে সুরমার পানি ফের বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে। কুশিয়ারাসহ অন্য নদীগুলোর পানিও বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই অবস্থা।
উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াদ আলী বলেন, ২০০৪ সালের বন্যাকে ছাড়িয়ে যায় কিছুদিন আগের বন্যা। দুই সাপ্তাহের আগের বন্যার ক্ষয়ক্ষতির কাটিয়ে উঠতে পারছে না সাধারণ মানুষ। এর মাঝে আবার পাহাড়ি ঢলে পানিতে বন্যার পূর্বাভাসে আতঙ্কের দিন পাড় করছে বন্যা দূর্গত মানুষ।
ইসলামপুর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর আলম জানান, ভারতে ভারী ভর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢলে পানি নেমে কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রমের পর্যায়ে রয়েছে। কিছুদিন আগের বন্যার পানি গত দুই সাপ্তাহ ধরে কমছিল। বাড়ি-ঘর থেকে পানি নেমে রাস্তাঘাট চলাচলের উপযোগী হয়েছিল। কিন্তু ফের পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার ইউনিয়নের কিছু কিছু রাস্তাঘাট ফের তলিয়ে যাচ্ছে।
কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে ভারতে বিরামহীন ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নদ-নদীর পানি বেড়েই চলছে। যে কারণে আবারও বড় বন্যার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বর্ষাকালের শুরুর আগেই আরেক দফা বন্যার পদধ্বনিতে আতঙ্কে আছেন সাধারণ মানুষ।
উপজেলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পাহাড়ি ঢলের ফলে উপজেলায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলার নিম্নাঞ্চল সহ সকল এলাকায় জনসাধারণের সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জে ফের বন্যা হলে সরকারের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।