কোম্পানীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় হামলা, বৃদ্ধা মা-ছেলেসহ আহত ৮

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় কৃষি জমিতে সেচের পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের বর্বরোচিত হামলায় ৮৫ বয়সী মা রংমালা বেগম ও তিন সন্তানসহ ৮ জন আহত হয়ে কোম্পানীগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ভিডিওতে দেখা যায় দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে বটেরতল গ্রামের জলাল আহমদের বাড়িতে একটি পক্ষের অর্ধশতাধিক লোকজন হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে কয়েকজনকে আহত করে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর উপজেলা জুড়ে সমালোচনা চলছে ও এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ৯টায় উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের বটেরতল গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় বটেরতল গ্রামের জলাল আহমদ বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগপত্র ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বটেরতল গ্রামের বিয়াজ উদ্দিন ও জলাল আহমদের মধ্যে কৃষি জমিতে রাতের আঁধারে চুরি করে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র গত ১৩ মার্চ তর্কবিতর্ক হয়। এ নিয়ে গত ১৪ মার্চ জোহরের নামাজের পর বটেরতল মসজিদের সামনে জলাল আহমদের উপর হামলা করে বিয়াজ উদ্দিন। স্থানীয়রা দুইজনকে থামিয়ে দিলে জলাল আহমদ স্থানীয় মুরব্বিদের কাছে শালিসি বিচার চান। বিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে শালিসি বিচার দেওয়ার কারণে পরের দিন ১৫ মার্চ সকালে পরিকল্পিতভাবে জলাল আহমদের বাড়িতে বিয়াজ উদ্দিনের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে ৮ জনকে আহত করে।

আহতরা হলেন, বটেরতল গ্রামের রংমালা বেগম (৮৫), হোসেন আহমদ (৬৩) হোছনারা বেগম (৩৫), সমরুন নেছা (৬৫), জয়নাল আবেদীন (২৫), সাইদুল হক (২৫), জমির আহমদ (৬৫)।

আহত হোসন আহমদ বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিয়াজ উদ্দিন আশপাশের গ্রামের তাঁর সকল আত্মীয় নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমাদের বাড়িতে হামলা করে ৮৫ বয়সী আমার বৃদ্ধা মাসহ ৮ জনকে আহত করেছে। আমার মা, স্ত্রী ও এক ভাইয়ের মাথায় গুরুতর আঘাত হওয়াতে একাধিক সেলাই লেগেছে। হামলার ভিডিও দেখলে বুঝতে পারবেন। তাঁরা আবারও আমাদের উপর হামলা করতে পারে। বিয়াজ উদ্দিন পরিবার প্রভাবশালী হওয়াতে আমার আমারা আইনী সহযোগিতা পাবো কি না তা নিয়ে চিন্তায় আছি। ন্যায় বিচার পেতে আমি থানা পুলিশ সহ সকলের সহযোগিতা চাই।’

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘ঘটনার খবর পাওয়ার পর থানা পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তারপর আর কোন মারামারি হয়নি। অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’