সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এমএ মান্নান এমপি বলেছেন, কোন এক সড়ককে দোষ দিয়ে লাভ নেই, আমি মনে করি, সার্বিকভাবে হাওরাঞ্চলে আমরা অনেক সড়ক নির্মাণ করেছি। এমনকি ধান রক্ষা করার জন্য আমরা যে ডুবো বাঁধ নির্মাণ করেছি তাও প্রথমদিকে পানি আটকায়। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, আর যেন এধরনের বাঁধ নির্মাণ করা না হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মঈনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে ‘সম্প্রতি হওয়া ইটনা-মিঠামইন-অষ্ট্রগ্রাম সড়কের কারণে পানি দ্রুত নামতে পারছে না, এমন কথা আছে হাওরাঞ্চলে, এই বিষয়ে তাঁর মন্তব্য জানতে চাইলে, সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান উত্তরে এসব কথা বলেন।
বৃষ্টিপাত না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা একটা উন্নতির লক্ষণ বলে আমি মনে করি। আর যদি বৃষ্টিপাত না হয়, আগামীকাল নীচু অঞ্চরের বাড়ি-ঘর থেকে পানি নেমে যাবে। তবে আমাদের গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও গরিব মানুষ যাদের ঘর দুর্বল, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যা ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা পুষিয়ে উঠতে পারবো।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নির্মাণকৃত চমৎকার স্কুলগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মানুষ এখানে নিরাপদ আশ্রয় পেয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য রনজিত সরকার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন।