কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট-এর সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম আউয়াল বলেছেন, চিত্রাঙ্কন শিশুদের সুকুমার বৃত্তিকে জাগিয়ে তোলে। শিশুদেরকে পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন সহ-পাঠক্রমিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করানো উচিত। মুসলিম সাহিত্য সংসদে শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রসদস্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে। একটি আলোকিত প্রজন্ম গড়ে তুলতে শিশুদেরকে পাঠাগারের সাথে সম্পৃক্ত করতে অভিভাবকদেরকে ভূমিকা রাখতে হবে।
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট-এর ১৬ দিনব্যাপী অষ্টাদশ বইমেলার দ্বিতীয় দিনে বিশেষ ও ‘ক’ গ্রুপের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদের কোষাধ্যক্ষ ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াতের সভাপতিত্বে ও বইমেলা উপকমিটির সদস্য সচিব কামরুল আলমের সঞ্চালনায় সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকাল তিনটায় আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, সিলেট লেখিকা সংঘের সাধারণ ইশরাক জাহান জেলি। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বইমেলা উপকমিটির সদস্য গল্পকার মিনহাজ ফয়সল।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিলেট আর্টস কলেজের প্রিন্সিপাল ইসমাঈল গণি হিমন, ক্যালিগ্রাফি শিল্পী জাহেদ হোসাইন রাহিন, ছড়াকার ও চিত্রশিল্পী ছাদির হোসাইন। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিশেষ গ্রুপে প্রথম স্থান অধিকার করেন নাফিস জাহান চৌধুরী, দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন ইসরাত জাহান তানহা, তৃতীয় স্থান লাভ করেন ফাতিমা মোস্তফা। ‘ক’ গ্রুপে প্রথম স্থান লাভ করেন ঋক দাস কাব্য, দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন মানজুরা মাহির এবং তৃতীয় স্থান লাভ করেন সান্নিধ্যা বড়ুয়া।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় সিলেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় বিশেষ গ্রুপে ছিল প্রে থেকে ১ম শ্রেণি, ‘ক’ গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত ছিল ২য় থেকে তৃতীয় শ্রেণি। উল্লেখ্য, অষ্টাদশ কেমুসাস বইমেলা সংসদের সাবেক সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ভাষাসৈনিক এ এইচ সা’দাত খানকে নিবেদিত করা হয়েছে। বইমেলা চলবে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।