কেমুসাস বইমেলায় ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. ফজলুর রহিম কায়সার বলেছেন, ক্যালিগ্রাফি মুসলিম শিল্প-সংস্কৃতিকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এ শিল্প পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। অ্যারাবিক ক্যালিগ্রাফি সাংস্কৃতিক বিপ্লব সাধনে ভূমিকা রাখবে। কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতার আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। এটি আমাদের নতুন প্রজন্মকে ইসলামী শিল্প- ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে।

কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট-এর উদ্যোগে অষ্টাদশ কেমুসাস বইমেলায় ‘ক’ ও ‘খ গ্রুপের ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংসদের কোষাধ্যক্ষ ও বইমেলা উপকমিটির সদস্য ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত-এর সভাপতিত্বে রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় বইমেলা প্রাঙ্গণে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

বইমেলা উপকমিটির সদস্য সচিব কামরুল আলমের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক প্রফেসর ডা. আব্দুল মজিদ মিয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন সংসদের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম আউয়াল। প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন বিশিষ্ট ক্যালিগ্রাফি শিল্পী লুৎফুর রহমান তোফায়েল। শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দারুল হুদা মাদরাসার শিক্ষার্থী মুস্তাফিজুর রহমান রাসেল। প্রতিযোগিতায় সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

প্রতিযোগিতায় ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপের অধীনে ৭ম শ্রেণি থেকে কলেজ-বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। ‘ক‘ গ্রুপের বিজয়ীরা হলেন- প্রথম-ফাতেহা আহমদ ইপা, দ্বিতীয়-তায়িবা জান্নাত নূরা এবং তৃতীয়-মাহিয়া তাবাসসুম রিচি। ‘খ’ গ্রুপের বিজয়ীরা হলেন- প্রথম-মো. সিদ্দিকুর রহমান, দ্বিতীয়-মাইশা নুসরাত তাহা এবং তৃতীয় (যৌথভাবে) সাইয়িদা মাইমুনা, মাসুদ উদ্দিন।

সভাপতির বক্তব্যে সংসদের কোষাধ্যক্ষ ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত বলেন, সিলেটে ক্যালিগ্রাফি শিল্পের বিকাশ ঘটানোর জন্য ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ। এছাড়া সিলেট ক্যালিগ্রাফি সোসাইটিও এ শিল্পের প্রসারে কাজ করছে। এই সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কেমুসাস তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে।

উল্লেখ্য, অষ্টাদশ কেমুসাস বইমেলা সংসদের সাবেক সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ভাষাসৈনিক এএইচ সা’দাত খানকে নিবেদিত করা হয়েছে। বইমেলা চলবে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত, প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা। ৯ ডিসেম্বর সোমবার উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা (ক ও খ গ্রুপ), সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।