আগামী রবিবার (১ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে ১৬ দিনব্যাপী অষ্টাদশ কেমুসাস বইমেলা মেলা। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ (কেমুসাস)-এর উদ্যোগে বইমেলা সফলের লক্ষ্যে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় কেমুসাসের উদ্যোগে সিলেটের লেখক ও সংস্কৃতিকর্মীরা নগরীর দরগাগেইটে কেমুসাস প্রাঙ্গণ থেকে একটি প্রচার র্যালি বের করেন।
সাহিত্য সংসদের সাবেক সভাপতি ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এএইচ সা’দাত খানকে নিবেদিত এই বইমেলাকে স্বাগত জানিয়ে র্যালির উদ্বোধন করেন সাহিত্য সংসদের সাবেক সভাপতি ভাষাসৈনিক অধ্যক্ষ মাসউদ খান।
সংসদের সহসভাপতি আফতাব চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং বইমেলা উপ-কমিটির সদস্য সচিব কামরুল আলমের সঞ্চালনায় র্যালিপূর্ব সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংসদের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম আউয়াল এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাষাসৈনিক অধ্যক্ষ মাসউদ খান বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কেমুসাস আলোকিত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে। বইমেলা সেই সমাজ গঠনের একটি সার্থক প্রয়াস। আমাদের প্রজন্ম যাতে বই পাঠে আগ্রহী হয়, সেজন্য আমাদেরকে সামগ্রিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আমি প্রত্যাশা করছি, লেখক-পাঠকদের পদচারণায় কেমুসাস প্রাঙ্গণ পূর্বেকার মতো এবারও জমজমাট হয়ে উঠবে।
এরপর প্রধান অতিথি প্রচার র্যালির উদ্বোধন করেন। র্যালিটি শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার কেমুসাস প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংসদের কোষাধ্যক্ষ ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত, মদনমোহন কলেজ, সিলেটের প্রফেসর আকবর হোসেন চৌধুরী, সংসদের পাঠাগার সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের, কার্যকরী কমিটির সদস্য জাহেদুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ, সাবেক আল ইসলাহ সম্পাদক নাজমুল আনসারী, রুহুল ফারুক, সালেহ আহমদ খসরু, ড. মো. তুতিউর রহমান, মোয়াজ আফসার, বায়েজীদ মাহমুদ ফয়সল, মামুন সুলতান, শামসীর হারুনুর রশীদ, ইশরাক জাহান জেলি, মাসুদা সিদ্দিকা রুহি, আলেয়া রহমান, সাজ্জাদ আহমদ সাজু,। আব্দুল মুহিত দিদার, হেলাল নির্ঝর, আলমগীর আলম, এম এ ওয়াহিদ চৌধুরী, জুবের আহমদ সার্জন, আবদুল কাদির জীবন, মিনহাজ ফয়সল, সুমন খান, কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল, সেনুয়ারা আক্তার চিনু, জিল্লুর রহমান, নূর মোহাম্মদ চৌধুরী, নেছার আহমদ জামাল, হুসাইন ফাহিম, আব্দুল বাছিত, ওমর ফারুক, কামাল আহমদ, কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল, শাহ পারভেজ প্রমুখ।
১৬ দিনব্যাপী এ বইমেলায় সবান্ধব এবং সপরিবারে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মাসিক আল ইসলাহ সম্পাদক ও বইমেলা উপ-কমিটির আহবায়ক আহমদ মাহবুব ফেরদৌস।
বইমেলা উপলক্ষে সাহিত্য সংসদ গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ১লা ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় বইমেলার উদ্বোধন, ২রা ডিসেম্বর সোমবার বিকেল ৩টায় চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা (বিশেষ এবং ক গ্রুপ), সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রকাশনা অনুষ্ঠান, ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ৩টায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা (খ, গ ও ঘ গ্রুপ), সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রকাশনা অনুষ্ঠান, ৪ ডিসেম্বর বুধবার বিকাল ৩টায় হাতের লেখা প্রতিযোগিতা (ক ও খ গ্রুপ) এবং গান প্রতিযোগিতা (সব গ্রুপ), ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় সাহিত্য আসর, ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টায় আবৃত্তি প্রতিযোগিতা (বিশেষ এবং ক গ্রুপ), সন্ধ্যা ৬টা থেকে আলোচনা সভা : ছড়াসাহিত্য, ছড়া পাঠের আসর, ৭ ডিসেম্বর শনিবার আবৃত্তি প্রতিযোগিতা (খ, গ ও বিশেষ গ্রুপ), সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রকাশনা অনুষ্ঠান, ৮ ডিসেম্বর রবিবার বিকাল ৩টায় ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতা ( ক ও খ গ্রুপ), ৯ ডিসেম্বর সোমবার উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা ( ক ও খ গ্রুপ), ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ক্বিরাত প্রতিযোগিতা ( বিশেষ, ক ও খ গ্রুপ), ১১ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ‘লিটলম্যাগ আন্দোলন’ শীর্ষক আলোচনা সভা, ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় কেমুসাস সাহিত্য আসর, ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রকাশনা অনুষ্ঠান, ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, ১৫ ডিসেম্বর রবিবার বিকাল ৩টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, সমাপনী, পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।