কেন্দ্র থেকে সীমান্তে অসহায়ের পাশে সিলেট জেলা পুলিশ

সিলেটে প্রবল বন্যা শুরুর পর থেকেই বানভাসি মানুষদের উদ্ধার ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে সিলেট জেলা পুলিশ। দিন-রাতের বালাই নেই কেন্দ্র থেকে সীমান্তে ছুটছে তারা।

শুধু তাই নয়, বানভাসি মানুষের সাহায্যের জন্য সিলেট জেলার পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গঠন করা হয় একাধিক টিম। যারা সিলেটের বিভিন্ন থানার বন্যা কবলিত এলাকায় বন্যা দুর্গতদের মাঝে খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে আসছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২২ জুন) জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশাররফ হোসেনসহ থানা এলাকার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ২৮৫টি বানবাসি পরিবারের মাঝে রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করা হয়।

এছাড়া বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ হিল্লোল রায়সহ একটি টিম বিয়ানীবাজার থানা এলাকায় ২৫০ জন মানুষের মধ্যে চাল, ডাল, চিড়া, মুড়ি ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করে।

কানাইঘাট সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আব্দুল করিমের নেতৃত্বে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তাজুল ইসলাম পিপিএমসহ থানা এলাকার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করা হয়। কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে থানার অফিসার ফোর্সসহ একটি টিম কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ২০০ জন বানভাসির মাঝে রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করেন।

গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে থানার অফিসার ফোর্সসহ একটি টিম থানা এলাকার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ১৫০ জন বানবাসির মাঝে রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করে। এছাড়া বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী আতাউর রহমান এবং জৈন্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীর এর নেতৃত্বে স্ব-স্ব থানা এলাকার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করা হয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিলেট জেলার পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম বলেন, ‘গতরাতে আমি কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করেছি। সন্ধ্যায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-থেকে একটি কল আসে। কলটি সংযুক্ত করে দেওয়া হয় জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমানকে। অপর প্রান্ত থেকে এক নারী কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান- তার পরিবার টানা তিন দিন ধরে অভুক্ত আছেন। তাৎক্ষণিক ঐ নারীর পরিবারসহ আরো ৩২টি পরিবারকে খাবার পৌছে দেয় কোম্পনীগঞ্জ থানা পুলিশ। তার বাড়ী কোম্পানীগঞ্জ থানার সীমান্তবর্তী দুর্গম চাটিবহর কোনাগাঁও গ্রামে।

সিলেট জেলা পুলিশের সদস্যরা আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম-বার এঁর নির্দেশে থানা সদর থেকে ভারত সীমান্ত পর্যন্ত রাতে ও দিনে বানভাসি অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।