দেশের আটটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিতে গুচ্ছপদ্ধতিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন ৮ জুন শুরু হয়ে ১০ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
আবেদনের যোগ্যতা: ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০২১ ও ২০২২ সালে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় যারা বিজ্ঞান বিভাগ হতে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সহউত্তীর্ণ হয়েছে কেবল তারাই আবেদন করতে পারবে। তবে ২০২১ সালে এসএসসি/সমমান মানোন্নয়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবে।
আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রে
প্রতিটিতে চতুর্থ বিষয় ব্যতীত ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ এবং সর্বমোট জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে। জিসিই ও এবং এ লেভেল পাসকৃত প্রার্থীর ক্ষেত্রে ও লেভেল পরীক্ষায় অন্তত ৫টি বিষয়ে এবং ও লেভেল পরীক্ষায় বিজ্ঞানের অন্তত ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় পরীক্ষায় প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ এবং সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ও ও ই গ্রেডের জন্য যথাক্রমে ৫ ও ৪ জিপিএ গণনা করা হবে।
আবেদন ফি: এক হাজার দুইশত টাকা (ট্রানজেকশন চার্জ ব্যতীত)।
লিখিত নির্বাচনী পরীক্ষা: এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৫ আগস্ট শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আটটি কেন্দ্র ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এক বা একাধিক উপকেন্দ্রের অধীনে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২২ সালের এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী ইংরেজিতে ১০, প্রাণিবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০ এবং গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১.০০ (এক) নম্বর প্রদান করা হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সাথে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় বার্তীত) ভিত্তিতে ২৫ এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় বাতীত) ভিত্তিতে ২৫ নম্বর যোগ করে ফলাফল প্রস্তুত করে মেধা ও অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হবে।
আবেদন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য (acas.edu.bd) ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটের ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা সঠিক ভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।