কৃষকের মাঝে শাক-সবজির বীজ ও খাবার বিতরণ

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে কলকালিয়া, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জে বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সহযোগীয়তা সুনামগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চলে প্রায় দুই হাজার বানভাসী কৃষকের মাঝে শাক-সবজির বীজ ও খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায় কলকলিয়াতে শাহজালাল মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক কৃষিবিদ মো. বেনজীর আলম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডিএই পরিচালক কৃষিবিদ মো. শামছুল হক, ডিএই পরিচালক (সরেজমিন উইং) কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান চৌধুরী, ডিএই সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. মোশাররফ হোসেন খান, এটিআই অধ্যক্ষ কৃষিবিদ ভূঞা এটিএম ওবায়েদ উল্লাহ, ডিএই সিলেটের উপপরিবার কৃষিবিদ কাজী মোহাম্মদ মজিবুর রহমান, খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ তারিক মাহমুদুল ইসলাম, সাইট্রাস প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. ফারুক হোসেন, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. মোকলেছুর রহমান, প্রকল্প ডিএই সুনামগঞ্জের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বিমল চন্দ্র সোম।

এসময় প্রধান অতিথি বলেন, দেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে বিভিন্ন কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এছাড়ও প্রতিবছরই বন্য, খরা ও অন্যান্য প্রাকৃতিকদূযোগে সরকারী বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে তারা কাজ করে যাচ্ছে। তবে এবার বিসিএস(কৃষি) ক্যাডার এর কর্মকর্তাদের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে বন্যার্ত কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে উক্ত অধিদপ্তর।

সাম্প্রতিক সময়ে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জসহ অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ বিশেষ করে কৃষকেরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বন্যার্ত মানুষদের মাঝে খাদ্য ও বিশেষ করে কৃষকদের ফসল উৎপাদনের মূল উপকরণ বীজ সহায়তার দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে।

তারই ধারাবাহিকতায় বানভাসী মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. বেনজীর আলম। তিনি বিসিএস (কৃষি) ক্যাডার এর কর্মকর্তাদের মনোবল বাড়াতে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর, ছাতক ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা এবং সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় বন্যার্ত কৃষকদের সাথে কথা বলেন। তিনি সাহসের সাথে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করে পরবর্তী কৃষি কর্মকান্ড শুরু করার জন্য কৃষকদের অনুপ্রেরণা যোগান। বন্যা পরবর্তী সময়ে খাদ্য ও পুষ্টি ঘাটতি পূরণে স্বল্প মেয়াদি শাকসবজি যেমন লালশাক, ডাটাশাক, মূলাশাক আবাদ করার উপর তিনি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।

পাশাপাশি ঈদ উপলক্ষে তাদের ঘরেও যেন খুশির আমেজ ছড়িয়ে পড়ে সেজন্য চাল, ডাল, চিনি, সেমাই প্রভৃতি শুকনা খাবার বিতরণ করেন। এসময় তার সাথে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সদর কার্যালয় সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলের বিভাগীয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।