কৃষক যাতে ন্যায্য মূল্য পান, সেদিকে লক্ষ্য রেখে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ।
‘ধানের দাম নির্ধারণের জন্য দুইদিন পর আমাদের সভা হবে। কৃষক যাতে ন্যায্য মূল্য পান, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। আমরা চাই, কৃষকরা যাতে ধান চাষে উৎসাহিত হন, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে।‘
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষ্মণশ্রী ইউনিয়নের বাহাদুর গ্রামে দেখার হাওরে বোরো ধান কর্তন উৎসব শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘এখানে জেলায় কর্মকর্তা আছেন, তাদেরকে বলব, ধানের দামে যেন মধ্যস্বত্বভোগী কেউ যাতে সুবিধা নিতে না পারে, প্রকৃত কৃষকরাই যেন সঠিক দামে ধান বিক্রি করতে পারেন, সে দিকে কঠোর লক্ষ্য রাখতে হবে।‘
ধান বিক্রিতে যেন কোনও সিন্ডিকেট তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদেও লক্ষ্য রাখার আহবান জানান তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সুনামগঞ্জ একটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। আমরা বিগত সময়ে দেখেছি হাওরের বন্যার কারণে পুরো জেলার বোরো ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যা মোকাবেলা করে আমরা যাতে ফসল উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারি সে লক্ষ্যেই কাজ করবো। আমি সিলেট অঞ্চলের মানুষ, আমি হাওরের মানুষের দুঃখ বুঝি।‘
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিনজন এমপি আসেন তাদের এলাকার জন্য মেশিন নেয়ার জন্য বা বিভিন্ন কাজে। আমি আন্তরিক ভাবে সব সময় চেষ্টা করি তাদের সেবা দেয়ার কিন্তু আমাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কৃষিকাজ সহজ করতে সরকার যান্ত্রিকীকরণ বাড়াচ্ছে।‘
কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেন, ‘আপনারা যারা স্থানীয়রা আছেন, আমাদের পরামর্শ দিবেন বা আমাদের কর্মকর্তাদের জানাবেন। আমরা যাচাই বাছাই করে দেখবও পরামর্শগুলো বাস্তবায়ন করা যায় কি না।‘
বোরো ধান কর্তন উৎসবে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ সাদিক ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য রণজিত চন্দ্র সরকার।