সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে দক্ষিণপাড়-রৌয়াইল সড়কটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সঙ্গে হুমকিতে পড়েছে নদীতীরবর্তী বাড়িঘর ও স্থাপনা।
এদিকে সড়কটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে ১২ গ্রামের অন্তত ৩০ সহস্রাধিক মানুষ।
স্থানীয়দের জানান, উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নে কুশিয়ারা নদীর তীর ঘেঁষে নোয়াগাঁও-আলমপুর-বালিশ্রী-রৌয়াইল সড়কটির অবস্থান। এবং এটিই এখানকার একমাত্র সড়ক হিসেবে বিবেচিত। কুশিয়ারার ভাঙনে ইতিমধ্যে গ্রামীণ অনেক রাস্তাঘাট, কৃষিজমি, বসতভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পরে ২০২০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ১কোটি ৯০লাখ টাকা ব্যয়ে আলমপুর-ভালিশ্রী-রৌয়াইল অংশের তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকা করে।
জানা গেছে, ২০২১ সালের আগস্টে ওই সড়কের বালিশ্রী গ্রামের গুলজার মিয়ার বাড়ির সামনে কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে সড়কটি। এতে বন্ধ হয়ে যান চলাচল। পরে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটি যান চলাচলের উপযোগী করা হয়। কিন্তু গত দুই বছরে এ সড়কের ভাঙন রোধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে ভাঙন অংশের উভয় পাশের প্রায় একশ ফুট জায়গার নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ রেখে কাজ শেষ করা হয়।
গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের শিকার হচ্ছে। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা আরো জানান, গত ৮দিন ধরে সড়কটি দিয়ে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম