‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা থেকে শুরু হয়েছে কর্মসূচির বাস্তবায়ন। অনাবাদি পতিত জমি আবাদের আওতায় আনার লক্ষ্যে কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুসারে কুলাউড়া উপজেলায় স্থায়ী পতিত জমির পরিমাণ ১ হাজার ৩৯০ হেক্টর। আর মৌসুমী ও সাময়িক পতিত জমির পরিমাণ এক হাজার ৫৯০ হেক্টর।
ইতোমধ্যে কুলাউড়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ৪০টি ব্লকে পতিত জমি এবং এক, দুই ও তিন ফসলী জমিকে চার ফসলী জমিতে রূপান্তরিত করার জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের নর্তন (সৈয়দ বাড়ী) এলাকায় এক বিশাল কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে ও আমদানি নির্ভরতা কমাতে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। সেজন্য সরকার কৃষকদের সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছে। কৃষকরা যাতে ভালো ফসল উৎপাদন করতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। দেশের উৎপাদনশীল সকল জমি চাষ করলে আমাদের আর খাদ্য আমদানি করতে হবে না।
তিনি আরও বলেন, কুলাউড়ায় কৃষক সমাবেশ করার মূল কারণ কুলাউড়া কৃষিতে খাদ্য উদ্বৃত্ত একটি উপজেলা। তাই জেলার মধ্যে কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়ন থেকে প্রথম সমাবেশ শুরু হলো। আগামীতে জেলার সবক’টি উপজেলা ও ইউনিয়নে এ ধরনের কৃষক সমাবেশ করা হবে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসানের পরিচালনায় কৃষক সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদ সলমান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস ছামাদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওসার দস্তগীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, সাধারণ সম্পাদক আ স ম কামরুল ইসলাম। কৃষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন আশীষ কুমার পাল।
নতুন সৈয়দ বাড়িতে অনাবাদি পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগানে পানি লাউয়ের চারা ও নেপিয়ার জাতের ঘাসের চারা রোপণের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।