মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে দু’টি প্রকল্প নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। একটি প্রকল্পের কাজ হয়নি এবং অন্য প্রকল্পের সিংহভাগ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
ভুকশিমইল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাইরচক গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ভুকশিমইল দারুল উলুম মাদরাসা সংলগ্ন রাস্তায় মাটি ভরাটের জন্য কাবিটা প্রকল্পের আওতায় নগদ দেড় লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু প্রকল্প চেয়ারম্যান ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খসরুজ্জামান খসরু মাত্র ৬০ হাজার টাকার মাটি ফেলে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন।
এদিকে একই ওয়ার্ডের কাইরচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সেতুর দুইপাশে মাটি ভরাটের জন্য কুলাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা টিআর প্রকল্প থেকে ৫ টন চাল বরাদ্দ করেন। কিন্তু সেই প্রকল্পের কোনো কাজই হয়নি বলে গ্রামবাসী জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা ও মাটি ভরাট কাজের ঠিকাদার সামছুল ইসলাম বলেন, ইউপি সদস্য খসরুজ্জামান খসরু ভুকশিমইল দারুল উলুম মাদরাসার নিকট রাস্তার মাটি ভরাটের জন্য আমাকে বললে আমি এক লাখ টাকা দাবি করি। তিনি আমাকে ৪৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বললে আমি কাজ করতে রাজি হইনি। অপরদিকে কাইরচাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সেতুর দুইপাশে মাটি ভরাটের জন্য আমি এক লাখ বিশ হাজার টাকা দাবি করি। কিন্তু মেম্বার ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেন। ফলে আমি কাজ করতে রাজি হইনি।
ভুকশিশইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন জানান, ইউনিয়নে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ না করে মেম্বার-চেয়ারম্যান লুটপাটে ব্যস্ত।
এ ব্যাপারে জানতে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খসরুজ্জামানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বাড়িতে গিয়ে তার সাথে দেখা করার কথা বলেন। তিনি প্রকল্পের কাজ সঠিক করেছেন বলেও দাবি করেন।
ভুকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির জানান, কাইরচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সেতুর মাটি ভরাট কাজের জন্য টিআর প্রকল্পের ৫ টন চাল বরাদ্দ করা হয়। বন্যার কারণে সেই প্রকল্পের কাজ করা সম্ভব হয়নি। টাকা চেয়ারম্যানের নিকট আছে।