মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পেনশনের টাকার জন্য অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তাকে রফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী (৬৫) কে হত্যা করেছে তারই স্ত্রী।
শনিবার (২৭ মে) ভোররাতে উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী মিছফা আক্তার সিদ্দিকা ওরফে জ্যোৎস্না (৫৫), ১ম মেয়ে শারমিন আক্তার সিদ্দিকা (৩০), ৩য় মেয়ে শেখ তাজরিন আক্তার (২১), ও ৩য় মেয়ের জামাই মেহেদী হাসান (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত আছলম মিয়া সিদ্দিকীর ছেলে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা শেখ রফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী (৬৫) গত ০২ বছর পূর্বে ইউসিবি ব্যাংক হতে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর একমাত্র ছেলে আমিনুল সিদ্দিকীকে মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঠান। বাকি টাকা দিয়ে দু’মেয়েকে বিয়ে দেন, নিজে ওমরা হজ্ব করেন ও জায়গা জমি ক্রয় করে ঘর নির্মাণ করেন। কিন্তু পেনশনের বাকি টাকা নিয়ে নিহতের স্ত্রী ও ২ মেয়ে প্রতিনিয়ত ঝগড়া করতো। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বিচার সালিশ হয়েছে।
শুক্রবার ২৬ মে রাতেও শালিস বৈঠক বসে, যা শনিবার ২৭ মে ভোররাত ৩টা পর্যন্ত চলে। এরপর শালিসগণ বিষয়টি সমাধান করে দিয়ে যার যার বাড়িতে চলে যান। এর ঘন্টা দেড়েক পরে হঠাৎ চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে শেখ রফিকুল ইসলাম সিদ্দিকীকে মৃত অবস্থায় বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখেন।
বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য কুলাউড়া থানা পুলিশকে জানালে এসআই পরিমল ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, শেখ রফিকুল ইসলাম সিদ্দিকীর মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন ও গলার চারপাশে আঘাত ও নখের আচড়ের দাগ ছিলো।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রতন কুমার নাথ জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতের ভাই বাদি হয়ে কুলাউড়া থানার মামলা (নং-৩৭, তারিখ : ২৭/০৫/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা: ৩০২/৩৪ পেনাল কোড) দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।