মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় শতভাগ যান্ত্রিকীকরণের ফলে এবার বোরো চাষে নতুনভাবে যোগ হচ্ছে আরও ৫০ একর জমি। এই ফসল উৎপাদন থেকে কাটা পর্যন্ত সম্পূর্ণটাই যন্ত্রের সাহায্যে হবে। ফলে কৃষকরা বোরো চাষ নিয়ে ব্যাপক কৌতুহলী। দুই মৌসুম ধান (আউশ ও আমন) ক্ষেতের পর জমিগুলো পতিত থাকে। এবার তা বোরো চাষে আবাদ হবে। এতে অধিক মুনাফাও অর্জন হবে কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের গুতগুতি এলাকায় ৫০ একর দুই ফসলা জমিকে বেছে নেয়া হয়েছে বোরো চাষের জন্য। কিন্তু এই বোরো চাষ হবে সম্পূর্ণ যন্ত্রের সাহায্যে। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে কৃষিক্ষেত্রকে যান্ত্রিকীকরণই হচ্ছে এর মূল লক্ষ্য। কুলাউড়া উপজেলায় এটি প্রথম উদ্যোগ। এই ৫০ একর জমি চাষাবাদের জন্য ৫০ থেকে ৬০ জন কৃষককে সম্পৃক্ত করা হবে।
গত ২২ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে চারা বপনের কাজ শুরু হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল মোমেন, প্রেসক্লাব কুলাউড়ার সভাপতি আজিজুল ইসলাম ও উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির।
কৃষকরা ও কৃষি অফিস জানায়, পানির সুবিধার কথা বিবেচনা করে ফানাই নদীর তীরে কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের গুতগুতি এলাকার মাঠকে বেছে নেয়া হয়েছে।
কৃষি অফিসার মো. আব্দুল মোমেন জানান, জেলা প্রকৌশলী সোনিয়া শারমিনের তত্ত্বাবধানে বীজতলা প্রস্তুত হচ্ছে। সিড শোয়িং মেশিনের সাহায্যে মাটি ও বীজ মিশ্রিত সাড়ে চার হাজার ট্রেতে চারা উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এরপর রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে জমিতে চারা রোপন করা হবে। সবশেষে কম্বাইন্ড হার্বেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা হবে।
কুলাউড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কোনো জমি পতিত থাকবে না- এই কথা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কুলাউড়ার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর সুফল কৃষকরা ভোগ করবেন। আগামীতে যাতে দুই ফসলী জমিতে তিন ফসল হয় এবং কোনো জমিই পতিত না থাকে, সে লক্ষ্যে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।