কুলাউড়ায় বহিরাগতদের অবাধ বিচরণে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয়

মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনে বহিরাগতদের অবাধ বিচরণের ব্যাপারে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে অভিযোগ করা হয়েছে। ফলে সুষ্ঠু ও অবাদ নির্বাচন নিয়ে সংশয় কেবল প্রার্থীদের মধ্যেই নয়, ভোটারদের মধ্যেও।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতিকের প্রার্থী ও সাবেক এমপিএম এম শাহীন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি বরাবরে পৃথক লিখিত অভিযোগ করেন। যার অনুলিপি দেয়া হয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কমিশনারবৃন্দ ও সচিব বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মৌলভীবাজার, সহকারী রিটানির্ং কর্মকর্তা ও কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে।

লিখিত অভিযোগে এম এম শাহীন উল্লেখ করেন, দ্বাদশ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে কুলাউড়ার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতো মধ্যেই এর আলামত স্পষ্ট হয়েছে। প্রতিদিনই প্রতিদ্বন্দ্বি দু’জনপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদেরম ধ্যে হামলা-ভাঙচুর, পেশি শক্তি প্রদর্শনসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে চলেছে। নির্বাচন যত সন্নিকটে আসছে, সংঘাত-সংঘর্ষেও আশঙ্কা তত বাড়ছে। কোনো কোনো প্রার্থীর পক্ষে বহিরাগত লোকজন এলাকায় মহড়া দিচ্ছে। বিভিন্ন বাসা বাড়ী ও হোটেলে শত বহিরাগত লোকেরা অবস্থান নিয়েছে। নির্বাচনের দিন এই বহিরাগতরা ভোটের পরিবেশে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পাওে বলে শঙ্কা রয়েছে।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, সরকার, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনের একান্ত চাওয়া-যেকোনো মূল্যে এবারের নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্নকরা। কিন্তু কুলাউড়ার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নয়ন ও বহিরাগতদের বিতাড়িত করা নাহলে মৌলভীবাজার-২ আসনের নির্বাচন দেশে-বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

খোঁজ নিয়ে জানান, গেছে কুলাউড়ার ৫টি বাসায় ও ৬টি আবাসিক হোঠেলে বহিরাগতরা অবস্থান নিয়েছে। অবস্থান নেয়া লোকজনের বেশির ভাগ সিলেট ও ময়মনসিংহের বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান মামুন জানান, বহিরাগতদের বিষয়ে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আমাকে ফোনে জানিয়েছেন। উনাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। তবে অভিযোগের অনুলিপি এখনও পাইনি। তাছাড়া আজ থেকে সবধরণের নির্বাচনী সভা ও প্রচারণা বন্ধ থাকবে। এরপর যদি কোন বহিরাগতদের পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কুলাউড়ায় ৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট যাতে অবাধ, শান্তিপূর্ণভাবে হয়, সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।