প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের মতো তৃণমূল থেকে উঠে আসা পরীক্ষিত তরুণ নেতৃত্বের প্রয়োজন। নাদেল একজন সফল রাজনীতিবিদ। হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, শাহ এসএম কিবরিয়া, দেওয়ান ফরিদ গাজী, বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও আব্দুস সামাদ আজাদের মৃত্যুর পর সিলেট বিভাগ থেকে জাতীয় রাজনীতিতে তাদের শূন্যস্থান পূরণ করতে শফিউল আলম চৌধুরীই বৃহত্তর সিলেটের মানুষের আশা-ভরসার প্রতীক।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) লন্ডন সময় সন্ধ্যা ৭টায় ইস্ট লন্ডনের লন্ডন এন্টারপ্রাইজ অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের সঙ্গে প্রবাসী কুলাউড়াবাসী আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রত্যাশা- তিনি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলকে মৌলভীবাজার-২ সংসদীয় আসন কুলাউড়া থেকে মনোনয়ন দিয়ে আমাদের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফল ঘটাবেন। এ দাবি শুধু কুলাউড়াবাসীর নয়, দল-মত নির্বিশেষে সিলেট বিভাগের সর্বস্তরের মানুষের।’
সমাজসেবা ও মানুষের কল্যাণে শফিউল আলম চৌধুরীর পরিবারের অবদান রয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, তার পিতা, পিতামহ এবং মাতামহ সকলেই মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। বৃহত্তর সিলেটর মানুষ এই পরিবারকে সম্মানের চোখে দেখে। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন, শুধু দলের সাংগঠনিক সম্পাদকই নয়, বিসিবির পরিচালক, সেই সাথে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক করেছেন।
তারা বলেন, শফিউল আলম চৌধুরী শীর্ষ দৈনিক উত্তরপূর্ব’র সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার উপর অর্পিত দায়িত্ব তিনি সফলতার সাথে পালন করছেন। তিনি পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।
কুলাউড়ার কৃতিসন্তান প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রবাসী নেতা সিতাব চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও আমিনা আলী, আদেল চৌধুরী ও শাহিন চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময়সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও সেক্রেটারি সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।
অনুষ্ঠানে শতাব্দী কর ও শেফালী জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক মিসবাহ কামাল, সৈয়দা নাজনিন সুলতানা শিখা, বিবিসি’র সাবেক সেক্রেটারি শাহানূর খান, বিসিএ’র প্রেসিডেন্ট এম.এ মুনিম, মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী রিপন, সৈয়দ তামিম আহমদ, কাওছার চৌধুরী, তারিফ আহমদ, আব্দুর রাজ্জাক, তৌহিদ ফিতরাত হোসেন, আব্দুল আহাদ চৌধুরী, আহমেদ হাসান. রবিন পাল, সৈয়দ ছুরুক আলী, সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, সাংবাদিক সৈয়দ নাহাস পাশা, আনসার আহমদ উল্লাহ, লন্ডনবাংলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি তাইছির মাহমুদ, সেলিম খান জামাল খান, মাহমদ আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের উপর নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি ও ডিবিসি টেলিভিশনে তার সাক্ষাৎকার প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয়।
মতবিনিময়সভায় শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ‘স্কুলজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হই। জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি/সভাপতি ও মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করেছি। নেত্রী আমাকে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন; নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি মানে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করা। যারা রাজনীতি করেন, তাঁদের সকলেরই একটি ভিশন থাকে জনপ্রতিনিধি হওয়ার। জনপ্রতিনিধি হলে মানুষের সেবা করার বেশি সুযোগ পাওয়া যায়। আমার ভিশন ছিল, মানুষের সেবা করতে আইন পরিষদের সদস্য হওয়ার; তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জন্মভূমি কুলাউড়া থেকে নির্বাচন করার। রাজনীতির পাশাপশি নির্বাচিত হলে মানুষের সেবা করার আরও বেশি সুযোগ পাবো। নেত্রী এবং দলের প্রতি আমার আনুগত্য রয়েছে। আমার বিশ্বাস, নেত্রী আমাকে আরও বেশি কাজ করার সুযোগ দেবেন। এই আসন থেকে দল যাকে মনোনয়ন দেবে আমি মেনে নেবো।’
নাদেল বলেন, ‘দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই দেশে-বিদেশে শুরু হয়েছে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র। সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান এবং একজন নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ ও দেশের কল্যাণের জন্য আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আসতে হবে। কয়েকটি বিদেশি জরিপে দেখা গেছে, দেশের ৭০% মানুষ শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। এতে তারেক রহমান ও দেশবিরোধীরা আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করছে। তারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে। বিএনপি যদি এবার নির্বাচনে না আসে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না।’
তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার আহ্বান জানান।