কালনী নদীতে ধরা পড়ল ২৫ কেজির বোয়াল

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে কালনী নদীতে পঁচিশ কেজি ওজনের বিশাল আকারের একটি বোয়াল মাছ ধরা পড়েছে।
শনিবার (৫ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নে কালনী নদীতে স্থানীয় জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে। একই দিন সন্ধ্যায় সৌলরী বাজারে মাছটি বিক্রির জন্য আনা হলে মাছটি দেখতে উৎসুক জনতা ভীড় জমান।

মাছটি বিক্রির জন্য প্রথমে দাম হাঁকা হয় ৪০ হাজার টাকা। এ সময় সৌলরীর বাসিন্দা (বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলা শহরের বাসিন্দা) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফাহিম চৌধুরী ও পলাশ চৌধুরী দরদাম করে মাছটি ২৫ হাজার টাকায় ক্রয় করেন।
গত বছরের একই সময়ে উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুরে ৪০ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়ে। সেটি মৌলভীবাজারের শেরপুর বাজারে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন স্থানীয় জেলেরা।

স্থানীয়রা জানান, কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার বাসিন্দা কামাল হোসেনসহ একদল জেলে নিয়মিত কালনী নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। শনিবার বিকেলে তাদের জালে এই বিশাল আকৃতির বোয়াল মাছটি ধরা পড়ে। মাছটি নিয়ে জেলেদের নৌকাটি নদীর পাড়ে আসলে স্থানীয়রা মাছটি দেখতে ভীড় জমান।

জেলে দলের প্রধান কামাল হোসেন জানান, মাছটি পেয়ে আমি অনেক খুশি। কারণ মাছটি বিক্রির টাকায় আমাদের দলে যে কজন জেলে রয়েছেন তাদের প্রত্যেকের কয়েকদিনের আয় একদিনেই হয়েছে।

মৎস্য ব্যবসায়ী আফছার মিয়া বলেন, এক সময়ের মৎস্য ভান্ডার খ্যাত আজমিরীগঞ্জের কালনী, কুশিয়ারা, কোদালিয়া, ভেড়ামোনাসহ নদ-নদীতে এমন মাছ অহরহই ধরা পড়তো।

স্থানীয় ক্রেতাদের চাহিদা মিটিয়ে মাছ রপ্তানি হত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এমনকি দেশের বাইরেও এসব নদীর মাছ রপ্তানি করা হতো। কিন্তু নদীর নাব্যতা হারানো, মাছের অভয়াশ্রাম নিশ্চিত না করা, জমিতে অধিক কীটনাশক ব্যাবহার করাসহ বিভিন্ন কারণে এসব দেশী মাছ এখন বিলুপ্তির পথে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, অপরিকল্পিত নগরায়ন, হাওড়ে রাস্তাঘাট নির্মাণ, জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যাবহার সহ বিভিন্ন কারনে মাছ বিলুপ্তির মূল কারণ। দেশী প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়াতে আমাদের অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন কর্মসূচী আমরা পালন করছি।