কারচুপির অভিযোগ এনে বিশ্বনাথে পুনঃনির্বাচনের দাবি সেবুল মিয়ার

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করে উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রবাসী বিএনপি নেতা সেবুল মিয়া।

আজ শুক্রবার (১ মে) বিকেলে পৌর শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি জানান।

তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসন এক প্রার্থীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নির্বাচনে অনিয়ম, জালভোট ও কারচুপির মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে সেবুল মিয়া বলেন, ‘গত বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত সিলেটের অন্যান্য উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল রাত ১০টার মধ্যে ঘোষণা করা হলেও রহস্যজনক কারনে বিশ্বনাথের নোয়ারাই সেন্টারে ভোটে গড়মিল করে ফলাফল আটকে রাখা হয়।‘

তিনি বলেন, ‘রাত ১টায় নাটক সাজিয়ে প্রশাসন এক প্রার্থীর কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করে। বিশ্বনাথের মানুষ প্রহসনের এই ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করে উপজেলা সদরে এসে প্রতিবাদও জানিয়েছে।‘

ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তার নিকট ফলাফল বাতিল করে পূণঃভোটের লিখিত আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

সেবুল মিয়া আরো অভিযোগ করেন, ‘খাজাঞ্চি ইউনিয়নের চন্দ্রগ্রাম, কান্দিগ্রাম, নোয়ারাই, খাজাঞ্চি ইউনিয়ন কেন্দ্রসহ ৬টি কেন্দ্রে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আমার এজন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। নোয়ারাই ও কান্দিগ্রামে প্রিজাইডিং অফিসারকে ১ঘন্টা রুমে তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। এসময় কেন্দ্রগুলোতে টেবিল কাস্ট করা হয়েছে।‘

তিনি অভিযোগ করেন, ‘এছাড়া পৌরসভার সরকারি কলেজ, মিরেরচর-১, মিরেরচর-২, রামপাশা ইউনিয়নের আশুগঞ্জ বাজার সেন্টার, আল-আজম সেন্টার, দৌলতপুর ইউনিয়নের সিংরাওলী সেন্টারেও টেবিল কাস্ট করা হয়েছে।‘

তিনি জানান, নির্বাচনের দিন বিষয়টি নিয়ে বারবার রির্টানিং কর্মকর্তাসহ প্রশাসনকে জানানোর পরও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

তিনি বক্তব্যে আরো বলেন, ‘চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এই তিন পদের মোট রিজাল্ট শীট দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন কত অমিল রয়েছে। মোট ভোটার কাস্টিং তিন পদে এক থাকার কথা থাকলেও তিনটিতে তিন রকমের রয়েছে।‘

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের পর থেকে বিজয়ী প্রার্থী ও তার কর্মীরা আমার এজেন্টদের ও কর্মীসমর্থকদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।‘

বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচনে ১৩ হাজার ৩২২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৬৮ ভোট। দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে প্রবাসী বিএনপি নেতা সেবুল মিয়া পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৯৯ ভোট।

সেবুল মিয়া ছাড়াও অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদও নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ভোট পুনঃগণনার আবেদন করেছেন।