কানাডার টরন্টোর ইতোবিককের হাইওয়ে ৪২৭-এ সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার রাতের দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয় বলে গ্লোবাল নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ (ওপিপি) জানিয়েছে, দুন্দাস স্ট্রিটের দিকে হাইওয়ে ৪২৭-এর দক্ষিণমুখী ঢালে সোমবার রাত ১১টা ২৩ মিনিটে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
তদন্তকারীদের বরাত দিয়ে ওপিপির সার্জেন্ট কেরি শিমট জানান, প্রচণ্ড গতিতে একটি গাড়িতে থাকা চারজন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, গাড়িটি ঢাল থেকে নেমে দুন্দাস স্ট্রিটের কংক্রিটের দেয়ালের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে টরন্টো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে চারজনকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে শিমট জানান, গাড়িটির নিহত তিন যাত্রীর মধ্যে ২০ বছর বয়সী এক ছাত্র ও এক ছাত্রী এবং ১৭ বছর বয়সী এক ছাত্র ছিল। গাড়িটির চালকের বয়স ২১ বছর, যিনি গুরুতর আহত হয়েছেন।
পুলিশের এ সার্জেন্ট জানান, চারজনের সবাই স্টাডি ভিসায় টরন্টোতে থাকতেন। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় পেছনের সিটে বসা দুই ছাত্র ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর অবস্থায় এক ছাত্র ও এক ছাত্রীকে স্থানীয় ট্রমা সেন্টারে নেয়া হয়, যেখানে ছাত্রীর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার রাতে তদন্তের স্বার্থে ঢালটি বন্ধ রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে এটি চালু করা হয়।
কানাডায় অবস্থানরত বাংলাদেশি সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৬টা ১ মিনিটে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে নিহত চারজনের নাম জানান।
তিনি লেখেন, ‘কুমার দের জন্য প্রার্থনা। শাহরিয়ার খান, অ্যাঞ্জেলা বাড়ৈ, আরিয়ান দীপ্তর জন্য গভীর শোক।’