সিলেটের কানাইঘাটে ৬ষ্ঠ বারের মতো এক মঞ্চে শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে ২০ জোড়া দম্পতির। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টায় উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের হারাতৈল মা’আরিফ বালিকা মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে উৎসবমুখর পরিবেশে ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদ বাংলাদেশের আয়োজনে ও মুসলিম ওয়েলফেয়ার ইনস্টিটিউট ইউকে’র অর্থায়নে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক যৌতুকবিহীন এ গণবিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে নবদম্পতির প্রত্যেককে একটি করে সেলাই মেশিন, ১টি ছাগল, ১টি করে খাট ও আলনা, লেপ-তোষক এবং সংসার সাজানোর জন্য বিবাহের উপহারসামগ্রী এবং আর্থিকভাবে সাবলম্বী হওয়ার জন্য বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করা হয়।
কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল্লাহ শাকির ও বড়চতুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হোসাইন চতুলীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে গণবিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মুসলিম ওয়েলফেয়ার ইন্সটিটিউট ইউকে’র প্রতিনিধি মাওলানা হানিফ দুদওলা, মাওলানা আমজাদ হোসাইন, মাওলানা ইয়াহিয়া, ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদ বাংলাদেশের প্রতিনিধি মাওলানা সদর উদ্দিন মকনুন ও ব্যারিস্টার মাওলানা জুনুদ উদ্দীন মাকতুম।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন চতুল সরুফৌদ কওমি মাদ্রাসার মুহতমিম মাওলানা বদরুল আলম।
গণবিবাহ অনুষ্ঠানে কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সহ-সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ, মাওলানা আব্দুল্লাহ বাহার, মাওলানা সাজ্জাদুর রহমান, মাওলানা সাইদুর রহমান, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ, মাওলানা আলিম উদ্দিন, মাওলানা আব্দুল মালিক, মাওলানা বদরুল আলম, মাওলানা আসাদ উদ্দিন, মাওলানা জুনায়েদ শামসী, মাওলানা আসিনুল হক, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা মাহবুবুল আম্বিয়াসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আলেম-উলামা, স্থানীয় সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মুসলিম ওয়েলফেয়ার ইনস্টিটিউট ইউকে ও ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদ বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা গণবিবাহের বর ও কনেদের দাম্পত্য জীবনের শুভ কামনা করে বিবাহের দেয়া উপহারসামগ্রী কাজে লাগিয়ে সুখী পরিবার গঠনে ধর্মীয় অনুশাসনের পাশাপাশি পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাসের আহ্বান জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের যৌতুকবিহীন গণবিবাহসহ দারিদ্র বিমোচনে তারা পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
এ ব্যাপারে বড়চতুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হোসাইন বলেন, গ্রামের দরিদ্র পরিবারের বিবাহযোগ্য কন্যাদের আর্থিকভাবে অস্বচ্ছলতার কারণে বিবাহ দিতে পারেন না অভিভাবকরা। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ইসলাহুল মুসলিমীন পরিষদ বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত আমার ইউনিয়নে ৬টি গণবিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে।