কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাকে ৫ হাজার ৫৩৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন মস্তাক আহমদ পলাশ। বুধবার (৫ জুন) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৩০২ ভোট।
তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামসুজ্জামান বাহার ঘোড়া প্রতীকে ২৯ হাজার ৭৬৫ ভোট। পলাশ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক। বুধবার রাতে ৮১টি ভোটকেন্দ্রের বেসরকারীভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে মস্তাক আহমদ পলাশের বিজয়ের খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে বুধবার বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে অপ্রাপ্ত বয়ষ্করা জাল ভোট দেয়ার চেষ্টা করেন। এতে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। কয়েকজনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হলেও কয়েকজনকে সাজা প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে, নির্বাচনে বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে ব্যাপক জালভোট প্রদান, এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র থেকে বের করার অভিযোগ তুলে ধরে উপজেলা সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউএনও ফারজানা নাসরিন বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী একেএম শামসুজ্জামান বাহারের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট লোকমান হোসেন।
অন্যদিকে, ব্যাপক জালভোট ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল মনসুর চৌধুরী সাজু (হেলিকপ্টার), বেলাল আহমদ (দোয়াত কলম) ও খায়রুল আমীন (আনারষ)। এর আগে সোমবার ভোররাতে নির্বাচন বর্জন করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক খায়ের চৌধুরী (টেলিফোন)।
উল্লেখ্য, এবারের কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
উপজেলায় মোট ভোটার ছিলেন ২ লক্ষ ১৮ হাজার ৯০৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ১২ হাজার ১২৫জন ও মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৬ হাজার ৭৮৪ জন।