কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের বীরদল আগফৌদ গ্রামে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ বসতবাড়ির পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার সকাল ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের স্বামীর বাড়ির লোকজন জানান, বীরদল আগফৌদ গ্রামের প্রবাসী হেলাল আহমদের স্ত্রী মুসলিমা বেগম (২৬) তার ৩ বছরের শিশু ছেলে আরিফ আফসারকে নিয়ে রোববার রাত ৯টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে নিজ কক্ষে শুয়ে পড়েন। সোমবার ভোর ৫টার দিকে মুসলিমা বেগমের শিশু ছেলের কান্নাকাটির শব্দ শুনতে পেয়ে বাড়ির লোকজন মুসলিমাকে ডাকতে থাকেন। তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে শয়ন কক্ষে ঘরের লোকজন ঢুকতে গেলে দেখেন ঘরের বাইরের দিকে দরজা লাগানো অবস্থায় রয়েছে। পরে বাড়ির লোকজন দরজা খুলে দেখতে পান শিশু আরিফের গলায় তার মায়ের কাপড়ের আঁচল প্যাঁচানো ও দু’হাত বাঁধা অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু মুসলিমাকে খোঁজে কোথাও তারা পাননি। একপর্যায়ে বাড়ির পুকুর ঘাটে মুসলিমার পরিহিত জুতা বাড়ির লোকজন দেখতে পান। সাথে সাথে ঘটনাটি কানাইঘাট থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে সকাল ১০টার দিকে থানার এসআই অরুপ সাগর গুপ্ত কমল একদল পুলিশ নিয়ে মুসলিমার বাড়িতে যান। স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে গলায় শাড়ি দিয়ে পাটাতন বাঁধা অবস্থায় মুসলিমার লাশ উদ্ধার করে।
এসআই অরুপ সাগর গুপ্ত কমল জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে মুসলিমা বেগম গলায় শাড়ি দিয়ে পাটাতন বেঁধে পুকুরে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় মুসলিমা বেগমের পিতা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, অনুমান ৬ বছর পূর্বে মুসলিমা বেগমের বিয়ে হয় বীরদল আগফৌদ গ্রামের সৌদি প্রবাসী হেলাল আহমদের সাথে। মুসলিমার পিতার বাড়ি একই ইউনিয়নের নিজ চাউরা উত্তর গ্রামে।