কানাইঘাটে জয়নাল হত্যা: থানায় মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ৩

জয়নাল আবেদীন হত্যাকাণ্ডের মামলায় গ্রেপ্তার ৩। ইনসেটে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র।

কানাইঘাটে মসজিদের সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে আপন ভাই ও ভাতিজাদের হামলায় সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জয়নাল আবেদীন হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) কানাইঘাট থানায় ৭ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে কামরুজ্জামান মুসা।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সমছুল হক, ভাতিজা সুহেল আহমদ ও কামাল আহমদকে সিলেট শহর সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার অপর আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান।

এদিকে ময়নাতদন্তের পর মঙ্গলবার নিহত জয়নাল আবেদীনের লাশ তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে বাদ আসর হারাতৈল মাঝবড়াই জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তার জানাযার নামায শেষে গ্রামের পঞ্চায়েত কবরস্থানে দাফন করা হয়।

গত সোমবার মসজিদের সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আপন ভাই ও ভাতিজাদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন উপজেলার বড়চতুল ইউপির হারাতৈল মাঝবড়াই গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জয়নাল আবেদীন।

এসময় তার আরেক বড় ভাই ওমান প্রবাসী আব্দুল্লাহ (৫৭) ও ভাই দুবাই প্রবাসী ছয়ফুল্লাহ (৬০) সহ আরো ২ জন আহত হন। আহতরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।