গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সিলেটের কানাইঘাট-চতুল-দরবস্ত সড়কের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দ্রুত উপযোগী করে সংস্কার করার জন্য আবারও ডিও লেটার দিয়েছেন সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন কানাইঘাট-দরবস্ত সড়ক। একটু বৃষ্টি হলে কাদা, পানি আর রোদের সময় ধুলোবালিতে একাকার হয়ে যায় পুরো সড়ক। বিগত দুই দফা বন্যায় জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মারাত্মক জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে কানাইঘাট-দরবস্ত সড়কের পৌরসভার অংশের অবস্থা একেবারেই নাজুক।
এমতাবস্থায় সড়কটি জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর একটি চিঠি (ডিও লেটার) প্রেরণ করেছেন সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) হাফিজ আহমদ মজুমদার স্বাক্ষরিত একটি ডিও লেটার সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে।
ডিও লেটারে এমপি মজুমদার সড়কের বেহাল দশার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা সিলেট-৫ এর অন্তর্গত কানাইঘাট উপজেলাধীন দরবস্ত-কানাইঘাট-শাহবাগ একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। প্রতিদিন জেলা সদরসহ প্রায় ৪টি উপজেলার লোকজন উক্ত রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে হাসপাতাল ভায়া কানাইঘাট থানার সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তাটি ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। অবস্থা এতই নাজুক যে ড্রেন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি খুবই জরাজীর্ণ ও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বর্তমানে আবার বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় রাস্তাটি মেরামতের দাবি উঠেছে। তাই জনস্বার্থে জনগুরুত্বপূর্ণ দরবস্ত-কানাইঘাট-শাহবাগ রাস্তার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে হাসপাতাল ভায়া কানাইঘাট থানার সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তা জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শাহবাগ-কানাইঘাট-দরবস্ত সড়ক সংস্কারের দাবিতে কয়েকবার সাংসদ হাফিজ আহমদ মজুমদার সংশ্লিষ্ট সরকারের দপ্তরে ডিও লেটার প্রদানের পাশাপাশি যোগাযোগ করার পর সড়কের বড় বড় গর্তের স্থান ইট-বালু দিয়ে সংস্কার করা হলেও তা কোনো কাজে লাগেনি। তবে পল্লী বিদ্যুৎ মোড় থেকে পোস্ট অফিস পর্যন্ত ও চতুল ঈদগাহ বাজারের মূল সড়ক আরসিসি ঢালাই করার জন্য ৩২ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।