কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোকে ২-১ গোলে হারিয়ে তৃতীয় হয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করেছে ক্রোয়েশিয়া। শুরু থেকে সম্ভাবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত চারেই থাকলো মরক্কো। প্রথমার্ধেই ২ গোলের লিড পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের কেউই কোন গোলের দেখা পায়নি।
বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়ার লড়াইয়ে ম্যাচের ৭ম মিনিটেই ক্রোয়েট সমর্থকদের উল্লাসে মাতান জেসকো গিভার্দিওল। পেরিভিচের ফ্রি কিক থেকে ডি বক্সের ভেতর বল পেয়ে দলকে লিড এনে দেন ক্রোয়েট এই ডিফেন্ডার।
গোল হজম করে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় মরক্কো। যার ফলে ফ্রান্সের বিপক্ষে ফিনিশারের অভাবে গোল মিস করা আটলাস লায়ন্সরা সমতায় ফেরে দুই মিনিটের মাথায়।
ডি বক্সের বাহিরে থেকে নেয়া জিয়াচের ফ্রি কিক গোলে পরিণত করে দলকে সমতায় ফেরান ডিফেন্ডার আশরাফ দারি।
সমতায় ফেরার পর যেন দ্বিগুণ উদ্যমে আক্রমণ চালানো শুরু করে মরক্কো। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে মিলছিল না তাদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ।
থেমে ছিল না ক্রোয়েশিয়াও। ২৪ তম মিনিটে বুনো ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার জোড়া আঘাত। দুই মিনিট বাদেই পেরিসিকের ফ্রি কিক হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।
৩০তম মিনিটে জিয়াচ ও হাকিমি সম্মিলিত আক্রমণ চালান ক্রোয়েশিয়ার জালে। কিন্তু ব্যর্থ হতে হয় দুইজনকেই। আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসলেও ৪২ মিনিটের মাথায় আরও এক গোল হজম করে বসে মরক্কো।
লিভাজার থেকে পাওয়া বল জালে ঠেলে দিয়ে ব্যবধান বাড়ান মিসলাভ অরসিচ। আর তাতেই লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে ক্রোয়েশিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই বেশ জোড়ালো আক্রমণ চালায় ক্রোয়েশিয়া। সমান তালে আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে মরক্কোও। বেশ কিছু সুযোগ পেলেও কোনটিই কাজে লাগাতে পারেনি আটলাস লায়ন্সরা। যে কারণে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি তাদের।
আর ম্যাচের বাকি সময়টাতে গোল বের করে আনতে না পারায় ২-১ গোলে হারকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।