ইকবালকে মারধরের অভিযোগ কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

কলেজ শিক্ষক ইকবালকে হেনস্তার প্রতিবাদে শাবিতে মানববন্ধন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বর্তমান কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার এম সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ইকবাল হোসেনকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, শিক্ষক ইকবাল হোসেনকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ওই কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে সকল ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেছেন কলেজের সচেতন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে সমাজকর্ম সমিতির সভাপতি ও বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, সমাজকর্ম অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী ওয়াক্কাস, সহকারী অধ্যাপক কৃত্তিবাস পাল। এসময় বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস, অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ, অধ্যাপক ড. ফয়সল আহমেদ, অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন বলেন, একজন অধ্যক্ষ কখনোই একজন শিক্ষককে শারীরিক কিংবা মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করতে পারেন না। আমরা দেখেছি যে, কলেজের সকল শিক্ষক শিক্ষার্থী ইকবালের পক্ষে ছিলেন। আর এটাই প্রমাণ করে যে, ইকবাল লাঞ্ছিত হয়েছেন। কলেজের অধ্যক্ষ অনৈতিক ও নিগ্রিত কাজ করেছেন। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান তিনি।

সমাজকর্ম অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মোহাম্মদ আলী ওক্কাস বলেন, এ ঘটনার পর থেকে কলেজের ছাত্ররা ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করছে। এর সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্ররা ক্লাসে ফিরবে না। কলেজের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আর এ থেকেই বুঝা যায় কলেজের শিক্ষক ইকবাল হোসেন হেনস্তার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছেন তাদের সকলকে আইনেন আওতায় নিয়ে এসে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।